Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কাজে যোগ দিলেও দায়িত্ব বুঝে নেননি নয়া উপাচার্য
ওয়েটুবরাক, ২৪ জানুয়ারিঃ আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে যোগ দিলেন অধ্যাপক রাজীবমোহন পন্থ। আচমকা তাঁর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের দরুন এ দিন দায়িত্ব হস্তান্তর পর্ব সম্পন্ন হতে পারেনি।
তিনি নিজেই আগে জানিয়েছিলেন, ২৪ তারিখে তিনি শিলচরে আসবেন। তবে দায়িত্ব নেবেন দুইদিন বাদে, ২৭ জানুয়ারি তারিখে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথিশালায় থেকে তিনি দুইদিন কথা বলবেন শিক্ষক-অশিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে। তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন। চেয়ারে বসার আগেই বুঝে নেবেন ২৮ বছর পেরনো বিশ্ববিদ্যালয়টিকে।
এ দিন তিনি ঠিকই শিলচরে আসেন, ওঠেনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথিশালায়। কিন্তু বিকালেই উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে। জানিয়ে দেন, এ দিনই কাজে যোগ দেবেন। সংশ্লিষ্ট সবাই মুশকিলে পড়েন। কারণ ২৭ তারিখে দায়িত্ব হস্তান্তর ধরেই নানা ফাইল তৈরি হচ্ছিল। ২৪ তারিখে ঠিক তখনই কী করে ওই সব ফাইল নিয়ে আসা সম্ভব ! শেষে অধ্যাপক পন্থই সমাধানের উপায় বাতলে দেন। বলেন, ফাইলের দায়িত্ব এক-দুদিন পরে বুঝে নিলেও তাঁর সমস্যা নেই। কিন্তু জয়েনিংটা এদিনই করবেন। শেষে তাই হয়।
প্রশ্ন ওঠে, দায়িত্ব হস্তান্তরের আগেই কি দিলীপচন্দ্র নাথ প্রাক্তন উপাচার্য হয়ে গেলেন? তাই যদি না হয়, তবে কি জয়েন করার পরও রাজীবমোহন পন্থ কি উপাচার্য হননি? বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকের কাছে কৌতূহল, ২৭ তারিখে দায়িত্ব হস্তান্তর হলে সাধারণতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা তুলবেন কে? আগামীকাল মঙ্গলবারও যদি দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়, তবে ঠিক দায়িত্ব হস্তান্তরের সময়টাতে উপাচার্যের চেয়ারে কে বসবেন, দিলীপচন্দ্র নাথ নাকি রাজীবমোহন পন্থ?
নতুন উপাচার্য এ ভাবে জয়েন করার পর থেকেই কানাঘুষো, আচমকা জয়েনিংয়ের জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠলেন কেন তিনি? গুয়াহাটি, অরুণাচল প্রদেশে কাজের অভিজ্ঞতায় তিনি কি অন্য কোনও আশঙ্কা করছেন? শিলচরে পা রেখেই কি জেনে গিয়েছেন, তাঁর নিযুক্তির বিরোধিতা করেছে বরাক ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট, আমরা বাঙালির মত কিছু সংগঠন? তাই ঝুঁকি না নিয়ে আগেভাগে জয়েনিংটা সেরে নিয়েছেন।