Barak UpdatesHappeningsBreaking News
পুলিশ হেফাজতে রংপুরে ব্যবসায়ীর মৃত্যু, উত্তেজনা
ওয়েটুবরাক, ১৯ জুন: কার্ফুর মধ্যে দোকান খোলার অপরাধে রংপুর করাতিগ্রামের ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ৷ পরে পুলিশ হেফাজতেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যবসায়ী বাবুল বণিকের৷ শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় রংপুর এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়৷ স্থানীয় জনতা রংপুর পেট্রল পেট্রল পোস্ট ঘেরাও করেন৷ পরে পুলিশ সুপার বৈভব নিম্বলকর চন্দ্রকান্ত সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন৷ তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, এই ঘটনার তদন্ত করা হবে৷
বাবুলবাবুর স্ত্রী-পুত্র জানান, তিনি কার্ফুর মধ্যে ব্যবসা করছিলেন না৷ কাছাকাছি কোনও ক্রেতা ছিল না৷ থাকার কথাও নয়৷ তিনি শুধু ঘরের চিনির প্রয়োজনে তালা খুলে ভেতরে ঢুকেছিলেন৷ তখনই পুলিশ গিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায়৷ কিছুক্ষণ পরে তাঁরা পুলিশ পোস্টে গেলে জানতে পারেন, মেডিক্যাল চেকআপের জন্য ৫০ বছর বয়সী বাবুল বণিককে সিভিল হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ তাঁরা সেখানে পৌঁছনোর আগেই তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে মেডিক্যাল কলেজে৷ মেডিক্যালে গিয়ে শোনেন, তাঁর মৃত্যু হয়েছে৷
বাবুলবাবুর স্ত্রী-পুত্র সহ প্রতিবেশীদের অভিযোগ, পুলিশ তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে৷ তাঁরা পুলিশের কাছে বারবার বলতে থাকেন, সুস্থ মানুষকে নিয়ে গিয়েছিলেন, এখন জ্যান্ত ফিরিয়ে দিতে হবে৷
পুলিশের বক্তব্য, কার্ফু বিধি লঙ্ঘনের জন্য বাবুল বণিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ রুটিন চেকআপের জন্য তাঁকে সিভিল হাসপাতালে পাঠালে ডাক্তাররা দেখেন, তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে৷ তাঁরা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে বলেন৷ সেখানে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ তাকে মারপিটের কথা অস্বীকার করে পুলিশ৷
এ দিকে, কার্ফু নিয়ে এতদিন পুলিশ নিষ্ক্রিয় বসে ছিল৷ দোকান বন্ধ করানোর বেশি যেন কোনও দায়িত্ব নেই তাঁদের৷ এখন তিনদিন ধরে সক্রিয় হতেই পুলিশ অনেক জায়গায় বাড়াবাড়ি শুরু করেছে বলে অভিযোগ আসছে৷ বুধবার রাতে অফিস সেরে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশের লাঠির ঘায়ে জখম হন জলসম্পদ বিভাগের কর্মী শ্যামসুন্দর সাহা৷ তিনি সরকারের নির্দেশেই অফিসে গিয়েছিলেন এবং এখন বাড়ি ফিরছেন বললেও শুনতে চায়নি পুলিশ৷ এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে রাজ্য কর্মচারী ফেডারেশন৷
বৃহস্পতিবার এক ক্যুরিয়ার সার্ভিসের ডিআই গাড়ির চালককে রাস্তায় আটকে মারপিট করা হয়৷ অথচ পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলকে কার্ফুর আওতার বাইরে রাখা হয়েছে৷