Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কলেজ খোলা রেখে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত পূজার ছুটি ঘোষণা করল আসাম বিশ্ববিদ্যালয়
২৮ অক্টোবরঃ ২২ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত পুজোর ছুটি ঘোষণা করেছিল আসাম বিশ্ববিদ্যালয়। পরে ১১ সেপ্টেম্বর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ছুটি কমানো প্রয়োজন। ১৬ নভেম্বরের বদলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ডিপার্টমেন্ট এবং অনুমোদিত কলেজগুলির বন্ধ কমিয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়। তাতে আপত্তি ওঠে আসাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংস্থার তরফ থেকে। তাঁরা পুরনো সিদ্ধান্ত বহাল রাখার জোরালো দাবি তোলেন। কলেজ শিক্ষক প্রতিনিধিরা এই দাবিতে সামিল হননি। তাঁদের বক্তব্য ছিল, এতদিন ধরে প্রায় বন্ধই রয়েছে কলেজ। এর পর ছুটির দাবি মানায় না। কিন্তু ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এক নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ডিপার্টমেন্টে আগের সিদ্ধান্ত মেনে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি থাকার কথা জানান। সেখানে অনুমোদিত কলেজগুলির কথার উল্লেখ নেই। অর্থাৎ কলেজ খুলে যাবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ থাকবে।
তাতে ক্ষিপ্ত হয় আসাম কলেজ শিক্ষক সংস্থা। রাজ্য কমিটির কার্যবাহী সদস্য চন্দন পালচৌধুরী বলেন, এক যাত্রায় পৃথক ফল! এ কেমন কথা? এতদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ডিপার্টমেন্ট এবং অনুমোদিত কলেজগুলি একই রুটিন মেনে ক্লাশ করছিল। এ বার ছুটির প্রশ্ন উঠতেই কলেজগুলিকে বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হল! এটা অন্যায়। বন্ধ হলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সবই বন্ধ থাকবে, আর খোলা রাখা যুক্তিযুক্ত মনে হলে সবই খোলা রাখা উচিত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যুক্তি, কলেজগুলির রুটিনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ কলেজগুলি রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণে। রাজ্য সরকার যখন কলেজ খুলে দিয়েছে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছুই করার নেই।
তাঁদের এই যুক্তি মানতে নারাজ চন্দনবাবুরা। তাঁদের বক্তব্য, কলেজগুলি যে রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণে, তা কি এই প্রথম জানল বিশ্ববিদ্যালয়? তাঁরা গত ১১ সেপ্টেম্বরের বিজ্ঞপ্তি তুলে ধরে দেখান, সেখানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ডিপার্টমেন্ট এবং অনুমোদিত কলেজগুলির ছুটি কমানো হল। তাঁদের প্রশ্ন, ওই সময় কী করে অনুমোদিত কলেজগুলির কথা উল্লেখ করা হল?