Barak UpdatesHappeningsBreaking News

কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কায় ডলুর শ্রমিকরা, মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকপত্র

ওয়েটুবরাক, ১২ অক্টোবর : বিমানবন্দর তৈরির নামে ডলু চা বাগানের ২৫০০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ হওয়ার পর কর্মসংস্থানের সংকটে ভুগছেন শ্রমিকরা। এত বিশাল পরিমাণ জমি কমে যাওয়ায়, পাতি তোলার অফ-সিজনে মহিলা ক্যাজুয়াল শ্রমিকরা কাজ পাবেনই না৷ এমনকী স্থায়ী শ্রমিকরাও সপ্তাহে ছয় দিন কাজ না পাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন৷ তাদের আক্ষেপ, গত তিন বছর ধরে পুরুষ ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের একদিনের জন্যও বাগানে কাজ জোটেনি, অথচ সেই সময়ে বাগানের মুনাফার বৃদ্ধি ঘটেছে৷

অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন কাছাড়ের জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিস্তৃত আইনি ব্যাখ্যা করে বিবেচনার জন্য একটি স্মারকপত্র প্রেরণ করে। পরবর্তীতে জমায়েত কার্যসূচির মাধ্যমে তাঁরা তাদের দাবিগুলো পেশ করবেন বলে জানান। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিসপিউট অ্যাক্ট ১৯৪৭-এর বিভিন্ন ধারা সহ আইএলও-র সুপারিশ ও ঘোষণাগুলি দিয়ে তাদের প্রস্তাবগুলোর সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন স্মারকপত্রে। তাদের প্রস্তাবগুলো হলো জেলা প্রশাসনের হাতে ন্যস্ত ডলুর ২৫০০ বিঘা ফসলি জমি বিনামূল্যে শ্রমিক কো-অপারেটিভকে লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিক সরকার। শ্রমিকরা আইন-মোতাবেক কো-অপারেটিভ রেজিস্ট্রেশন করে  এই জমিতে চা-চাষ করবেন। ডলু চা-বাগান তাদের কাছ থেকে কাঁচাপাতা কিনতে বাধ্য থাকবে।

দ্বিতীয়ত, ডলু ফ্যাক্টরিতে তৈরি উত্তম কোয়ালিটির চা অকশন বাজারের দরে শ্রমিক কো-অপারেটিভের কাছে বিক্রয় করতে বাধ্য থাকবে। সরকার সামান্য সহায়তা রাশি দিলে, এই শ্রমিক-কোঅপারেটিভ চায়ের প্যাকেট বানিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করবে। এতে শ্রমিকের জীবনের মানই শুধু উন্নত হবে তাই নয়, যৌথ কাজে সামাজিক পরিবেশের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বহু নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। তৃতীয়ত, কয়েক পুরুষ ধরে বসবাসরত চা-শ্রমিক ও প্রাক্তন চা-শ্রমিকদের জমির পাট্টা দেওয়া হবে বলে সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তাদের জমির পাট্টা শীঘ্র প্রদানের জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনতিবিলম্বে চালু করতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker