NE UpdatesBarak UpdatesHappenings
করোনা ঠেকাতে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?
বিশ্বযুদ্ধও এমন প্রভাব ফেলতে পারেনি, যা করোনা করতে সক্ষম হয়েছে৷ সব দেশবাসী সাবধানে রয়েছেন৷ তবু নিশ্চিত হওয়ার মত সময় আসেনি এখনও৷ তাই সবার কাছে কয়েকটা সপ্তাহ চাই৷ কারণ এর কোনও প্রতিষেধক আজও নেই৷
যেখানে করোনা সংক্রমণ বেশি ঘটেছে, দেখা গেছে, শুরুতেই দ্রুত এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে৷ আইসোলেশনের মাধ্যমে তারা এর মোকাবিলা করছে৷
ভারতের ১৩০ কোটি জনতা৷ তাই ভয়টা খুব বেশি৷ একে শক্তহাতে মোকাবিলার জন্য চাই সংকল্প ও সংযম৷ প্রথমে দেশবাসীকে সংকল্প গ্রহণ করতে হবে, করোনা রোখার জন্য একজন নাগরিক হিসাবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সমস্ত নির্দেশিকা মেনে চলব৷ মনে রাখতে হবে, আমি সুস্থ থাকলেই জগৎ সুস্থ৷ তাই ভিড় এড়িয়ে চলুন৷ ঘর থেকে বেরোবেন না৷ আমি তো ঠিক রয়েছি, এ কথা ভেবে অযথা ঘুরবেন না, করোনাকে ডেকে আনবেন না৷ জরুরি না হলে ঘর থেকে বেরনো পুরোপুরি বন্ধ করে দিন৷ যতটা সম্ভব, ঘরে বসে কাজ করুন৷ নিজের জন্যই ঘরবন্দি থাকুন৷ ৬০-৬৫ বছরের বেশি বয়সের যারা, আপনারা ঘর থেকে একেবারেই বেরোবেন না৷
আরেকটা জিনিস চাইছি আপনাদের কাছে, সেটা হল জনতা কার্ফু৷ রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জনতা কার্ফু৷ সে সময় কেউ ঘর থেকে বেরোবেন না৷ কোথায় কী হচ্ছে, তা দেখতেও যাবেন না৷ সে দিন রাজ্য সরকার এই জনতা কার্ফুর নেতৃত্ব দেবে, একে কার্যকর করবে৷
মনে রাখবেন, এটা প্রস্তুতি মাত্র৷ পরবর্তী দিনগুলিতে তা খুব কাজে আসবে৷ একে সফল করে তুলতে সবাই ১০ জনকে জনতা কার্ফুর কথা বলুন৷ দ্বিতীয়ত, সবাই যখন নিজেদের সতর্কতায় ঘরে বসে থাকবেন তখনও কিছু মানুষকে জরুরি সেবা অব্যাহত রাখার জন্য বাইরে বেরোতেই লাগবে৷ জনপ্রতিনিধি, নিরাপত্তা রক্ষী, সংবাদ মাধ্যম, দুধওয়ালা, জল সরবরাহকারী, স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতরা…তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই৷ একে শুধু মনে মনে বললেই হবে না, প্রকাশ করতে হবে৷ তাই আগামী ২২ মার্চ সন্ধ্যা ৫টায় দেশবাসী সবাই ৫ মিনিট ধরে নিজের গেটে এসে বা, ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে, বা থালা বাজিয়ে, কাশি-ঘন্টা বাজিয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫টা বাজতেই সাইরেন বাজানোর ব্যবস্থা করা হবে৷
শুধু ২২ মার্চ বলে নয়, এই কয়েক সপ্তাহ কেউ রুটিন চেক আপের জন্য হাসপাতালে যাবেন না৷ জরুরি মনে হলে ডাক্তারের সঙ্গে ফোনে কথা বলুন৷ কারণ হাসপাতালগুলিকে করোনা ঠেকাতে তখন অনেক কাজ করতে হবে৷
বলার অপেক্ষা রাখে না, করোনা দেশের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক থাবা বসাচ্ছে৷ একেও আমাদের মোকাবিলা করতে হবে৷ সেজন্য অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠিত হচ্ছে৷ তারা এই বিষয়টা দেখবেন৷ আমি শুধু কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করছি, এই সময়ে আপনার কর্মচারীদের অনুপস্থিতির জন্য বেতন কাটবেন না৷ তাঁদেরও তো বাঁচতে হবে, সংসার প্রতিপালন করতে হবে৷
আরও একটি কথা, জরুরি সামগ্রীর অভাব হবে না৷ সব মিলবে৷ তাই ছুটোছুটি করে সবকিছু কিনে আনার প্রয়োজন নেই৷ প্রথমে নিজেকে বাঁচানোর ওপর গুরুত্ব দিন৷ তাহলেই মানব সভ্যতা জিতবে, ভারত বাঁচবে৷ আমি বাঁচব, দেশ বাঁচবে৷