Barak UpdatesHappeningsBreaking News
করোনা: লক্ষীপুরেও বাধা, শেষে অজানা স্থানে অন্ত্যেষ্টি চৈতালি দেবের
২৫ এপ্রিল: আসাম স্টেট লেভেল ডেথ বোর্ড তাকে করোনায় মৃতের স্বীকৃতি দেয়নি৷ তবু তাঁর অন্ত্যেষ্টির জন্য জায়গা মিলছিল না৷ লক্ষীপুর মহকুমার বড় কর্তারা ময়দানে নামেন৷ লাভ হয়নি৷ লাবক শ্মশানের রাস্তায় মানুষ নেমে পড়েন৷ পিপিই কিটে মোড়া মৃতদেহ তাঁরা কিছুতেই এলাকায় ঢুকতে দেবেন না৷ শেষে শববাহী গাড়ি নিয়ে ফিরতে হয়েছিল প্রশাসনিক কর্তাদের৷ শনিবার সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাতেই জনমানবহীন এক জায়গায় তাঁর অন্ত্যেষ্টি হয়েছে৷ তবে কোন জায়গা, তাঁরা বলতে চাইলেন না৷
বেশ কিছুদিন ধরেই লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন ৩৫ বছরের চৈতালি দেব৷ ১৯ জুলাই ভর্তি হন শিলচর মেডিক্যাল কলেজে৷ সে দিনই তাঁর কোভিড টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করা হয়৷ পরদিন রিপোর্ট আসে পজিটিভ৷ বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল কলেজে মারা যান তিনি৷ যাবতীয় নথি যায় ডেথ অডিট বোর্ডে৷ তারা জানান, করোনাতেই মারা গিয়েছেন, এ কথা বলা যায় না৷ তবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি৷ তাই কোভিড বিধি মেনে অন্ত্যেষ্টির নির্দেশ দেওয়া হয়৷ তাতেই মুশকিল হয়৷
লক্ষীপুর মহকুমার হরিনগরে বাড়ি তার৷ প্রশাসন তাঁর মহকুমাতেই নির্জন জায়গায় নিয়ে মৃতদেহ পোড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ নিজেদের মহকুমার মানুষকে তাঁরা জায়গা না দিলে কে দেবে! এমন যুক্তি শতকণ্ঠের তীব্র বিরোধিতায় মূহূর্তে হারিয়ে যায়৷