Barak UpdatesHappeningsBreaking News

করিমগঞ্জ হাসপাতালে অসমিয়া ভাষা শেখার জন্য নার্সের ফরমান!

ওয়েটুবরাক, ৩০ এপ্রিলঃ উগ্র জাতিবিদ্বেষ বরাক উপত্যকা পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার করিমগঞ্জেও বাঙালিকে শুনতে হয়েছে, “আসামে থাকতে হলে অসমিয়া বলতে হবে, শিখতে হবে।” বাংলা কথা শুনতেই চাইলেন না করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালের এক নার্স। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বরাক উপত্যকার মানুষ।  শুক্রবার লিখিতভাবে ওই ঘটনার বিচার  চাওয়া হয়েছে।  বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের করিমগঞ্জ জেলা সহসভাপতি সব্যসাচী রায় ও রবিনহুড আর্মির সুজন দেবরায়কে সঙ্গে নিয়ে  অভিযোগকারী রম্যব্রত চক্রবর্তী জানান, বৃহস্পতিবার তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর শ্বশুরকে নিয়ে করিমগঞ্জ সদর হাসপাতালে গিয়েছিলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হলে নাম-ঠিকানা লেখানোর জন্য হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রবেশ করেন। সেখানে তিনজন নার্স  বসেছিলেন৷ একজন  তাঁর ভেতরে ঢোকার কারণ অসমিয়ায় জানতে চান৷

রম্যব্রতবাবু বাংলাতেই তাঁর জবাব দেন৷ ওই নার্স অসমিয়ায় জবাব দেওয়ার জন্য বললে তিনি জানান, অসমিয়াটা ভাল বলতে পারেন না৷ অসমিয়া নার্স তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন৷ বলেন, “আসামে থাকতে হলে অসমিয়া শিখতেই হবে৷”  এই মৌখিক ফরমানের পর তিনি টেবিল চাপড়ে চলে যান৷ অভিযোগকারীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন অন্য দুই নার্সও৷

রম্যব্রতবাবু এর পরই স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম সঞ্চালক অনুপকুমার দৈত্যারীকে পুরো বিষয়টি জানিয়ে আসেন৷ ওই সূত্রেই আজ শুক্রবার সব্যসাচী রায় ও সুজন দেবরায়কে সঙ্গে নিয়ে রম্যব্রতবাবু ওই নার্সের বিরুদ্ধ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷

অনুপবাবু সব জেনে তিনজন অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন৷ জানান, তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ সব্যসাচী রায় ও সুজন দেবরায় বললেন, “আমরা কারও মাতৃভাষার বিরোধী নই৷ কিন্তু তাই বলে আমার ভাষার অমর্যাদা আমরা মানব না৷”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker