Barak UpdatesIndia & World UpdatesHappeningsBreaking News
করিমগঞ্জে এসে করোনায় প্রাণ হারালেন কলকাতার বৃদ্ধ, পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন
ওয়েটুবরাক, ১০ জানুয়ারি : মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে করিমগঞ্জ শহরে কোনও চিকিৎসা নেই!বিস্মিত কলকাতার বাগুইহাটি রঘুনাথপুরের অপ্রতিম বসু, পৌলোমী বসু৷
করিমগঞ্জে বেড়াতে এসে গত ৩ জানুয়ারি দুপুরে বমি করেন ৭৩ বছরের প্রণবকুমার বসু৷ এর পরই বেশ অস্বস্তি বোধ করতে থাকেন৷ তাঁকে তখন সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ চিকিৎসকরা জানান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটেছে৷ পাঠানো হয় সিটিস্ক্যানের জন্য। তখনই ধরা পড়ে তিনি পজিটিভ। একে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, এর ওপর কোভিড। তাই শিলচর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা।
প্রণববাবুর পুত্রকন্যারা কাউকে দোষারোপ করতে চান না। অপ্রতিম-পৌলোমী বলেন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পর রোগীর দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু করিমগঞ্জ থেকে শিলচরে পাঠানোর জন্য একটা অ্যাম্বুলেন্স মিলছিল না। ৫ ঘণ্টা পরে কোভিড-অ্যাম্বুলেন্সটি যখন পৌঁছায়, তখন তাঁর শোচনীয় অবস্থা। ফলে কয়েক কিলোমিটার যেতেই প্রণববাবু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কোভিডে মৃত্যু বলে জেলা প্রশাসনের অনুমতি, অন্ত্যেষ্টির সরকারি ব্যবস্থা ইত্যাদি করে ৬ জানুয়ারি অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন হয় বেসরকারি কোম্পানির প্রাক্তন কর্তা প্রণব বসুর।
অপ্রতিম জানালেন, পারিবারিক কারণে করিমগঞ্জে গিয়েছিলেন বাবা, মা ও তিনি৷ পরে বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে আহমেদাবাদে কর্মরত দিদিও ছুটে আসেন৷
শিলচর মেডিক্যাল কলেজেও কিছুদিন আগে পর্যন্ত এই ধরনের রোগীদের শিলঙে বা গুয়াহাটি পাঠানো হতো। পথেই মারা যেতেন তাঁরা। থাউজেন্ড সায়ন্তন নামে এক সংস্থার আন্দোলনে সরকার কার্ডিও-সার্জন এবং নিউরো-সার্জন নিয়োগ করেছে। সংস্থাটির কর্মকর্তা সৌমিত্রশঙ্কর চৌধুরী বললেন, করিমগঞ্জেও এ ধরনের চাপ সৃষ্টির প্রয়োজন।
অপ্রতিম-পৌলোমীরা অবশ্য ফিরে গিয়েছেন৷ এখন তাঁদের মা-ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাগুইহাটির বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন৷ ও দিকে করিমগঞ্জে তাঁরা যে বাড়িতে এসেছিলেন, সেই বাড়ির মা-মেয়ে কোভিড পজিটিভ হয়ে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন৷