Barak UpdatesHappeningsBreaking News

এসপির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকপত্র আসাম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের

ওয়েটুবরাক, ৩০ নভেম্বর : অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের ডলু বাগান পঞ্চায়েত কমিটি কাছাড় জেলার এসপির মারফত মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কাছে ডলু বাগানের ১৪৭১ জন চা-শ্রমিকের স্বাক্ষর সংবলিত এক স্মারকপত্র তুলে দিয়েছে । কেউই যখন শ্রমিকদের কষ্ট, যন্ত্রণার কথা শুনছেন না ও তাদের সামূহিক ক্ষতির কথা ভাবছেন না , তখন রাজ্যের অভিবাবক হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী তাদের কথা শুনবেন ও তাদের সপক্ষে সিদ্ধান্ত নেবেন ,স্মারকপত্রে এই আশা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে বেশ কিছু দাবি জানানো হয়৷ এর মধ্যে রয়েছে, অধিকৃত ২৫০০ বিঘা জমি শ্রমিক কো-অপারেটিভ’কে বিনামূল্যে লিজ দিতে হবে৷ ওই জমিতে শ্রমিকরা নতুন করে চা-গাছ রোপন করবে৷ নইলে ২৫০০ বিঘা বিকল্প জমিতে নতুন করে চা-গাছ রোপণ করতে হবে।শ্রমিকদের বাসস্থানের জমির পাট্টা প্রদান করতে হবে৷  সরকার ঘোষিত মাথাপিছু একলক্ষ টাকার “গুড উইল মানি” স্থায়ী-অস্থায়ী নির্বিশেষে প্রত্যেক শ্রমিককে দিতে হবে। পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে সকল অস্থায়ী শ্রমিককে বাগানে কাজ দিতে হবে।

অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের পতাকাতলে জমায়েত হয়ে শ্রমিকরা বলেন, এয়ারপোর্ট নির্মাণের পক্ষে থেকেও চা-বাগানের ২৫০০ বিঘা ফসলি জমি অধিগ্রহণের বিরোধী ছিল বাগান শ্রমিকরা। বাগান কর্তৃপক্ষ ও কতিপয় নেতা শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে যে তা সম্ভব নয় এব্যাপারে শ্রমিকদের আশঙ্কা অমূলক ছিল না। শ্রমিকদের জীবনে তার কুপ্রভাব এখনই পড়তে শুরু করেছে।
তাই তাদের মত ছিল, ফসলি জমি নষ্ট করা ও তাতে কাজ বন্ধ করার আগে সম-পরিমাণ জমিতে চারা-রোপণ করে চা-গাছ তৈরি করা হোক। কিন্তু ডলু বাগানে এখন পর্যন্ত কোনও নার্সারি নেই, আর ফসল ফলানোর জন্য পতিত জমিই বা কোথায় সেটা তাদেরকে কেউ দেখিয়ে দেয়নি।

তাই বাগান শ্রমিকদের মত ছিল, ভিন্ন জমিতে এয়ারপোর্ট হোক কিংবা সম-পরিমাণ জমিতে আগে চা-গাছ ফলানো হোক এবং সে হিসাবে শ্রমিক কো-অপারেটিভের কাছে জমি ফেরতের প্রস্তাব তারা আগেই মুখ্যমন্ত্রীর বিবেচনার জন্য রেখেছিলেন।

তাদের অভিযোগ, বর্তমানে শ্রমিকদের ডলুর বাইরে অন্য বাগানে কাজের জন্য পাঠানো হচ্ছে। পাতি তোলার মরশুমেই পর্যাপ্ত চা-গাছের অভাবে স্থায়ী শ্রমিকরা নিরিখ পূরণ করতে পারছেন না, ক্যাজুয়েল শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেন না। ভবিষ্যতে যে শ্রমিকদের জীবন-জীবিকার উপর ভয়াবহ চাপ তৈরি হবে, সেটা সহজেই বোঝা গিয়েছিল।

একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হলে নিরাপত্তার কারণেই তার আশপাশের বসতবাড়ি উঠিয়ে দেওয়ার ভবিষ্যৎ আশঙ্কা থাকে। অধিগৃহীত জমির লাগোয়াই শ্রমিকদের বসতবাটি। তাই শ্রমিকদের বাসস্থানের নিরাপত্তা ও অধিকার সুনিশ্চিত করতে, চা-বাগান শ্রমিকদের বসতবাটির জমির পাট্টা প্রদান করার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে আগেই জানিয়েছিলেন তাঁরা৷ মুখ্যমন্ত্রী তাদের দাবিগুলি পূরণে আন্তরিক হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন শ্রমিকরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker