NE UpdatesHappeningsBreaking News
ত্রিপুরার প্রতিমা ও অসমের পুরোহিতে দুর্গাপুজো করলেন মিজোরামের রিয়াংরা
ওয়েটুবরাক, ২৩ অক্টোবরঃ মিজোরামের রিয়াং গ্রামে এ বার মৃন্ময়ী প্রতিমায় দুর্গাপূজা হল। মামিত জেলার তুইপুইবাড়িতে প্রতিমা নেওয়া হয়েছে ত্রিপুরার কাঞ্চনপুর থেকে। অসমের শিলচর থেকে গিয়েছেন পুরোহিত। এলাকার রিয়াংবস্তিতে রয়েছেন কয়েক পরিবার নেপালিও। পুজোয় সামিল তাঁরাও।
আইজল সহ মিজোরামের কিছু জায়গায় শারদবন্দনা হয় বটে, কিন্তু সেগুলি স্থায়ী মূর্তিতে। কোথাও পাথরে নির্মিত, কোথাও ফাইবার গ্লাসের দেবী । বিসর্জন হয় না তাদের।
মামিত জেলার রিয়াং গ্রামগুলিতে দুর্গাপূজার প্রচলন নেই বললেই চলে। ৬২ বছর বয়সী অধরাই রিয়াং জানান, তিনি ছেলেবেলায় ক্যালেন্ডারে দুর্গার মহিষাসুর বধের ছবি দেখেছিলেন। এ বার দেখলেন তাঁর মৃন্ময়ী রূপ। তাঁর কথায়, তাঁরা পরম্পরাগত কিছু পূজার্চনা করলেও পাড়ায় দুর্গাপূজা করা হবে, এর আগে কখনও ভাবতেই পারেননি। এ বার সংঘ পরিবার তাঁদের উৎসাহিত করায় সব বয়সের মানুষ এগিয়ে এসেছেন। পুরুষরা যেমন চাঁদা সংগ্রহ, বাজার-হাট করেছেন, মহিলারা ফুল তোলা সহ পুজোর যাবতীয় কাজকর্ম সেরেছেন। তিনদিন ধরে পাড়াসুদ্ধ মানুষের প্রসাদ গ্রহণের আয়োজন করা হয়। ডাল-ভাত-সবজি। একই কলাপাতায় গোল হয়ে খেয়েছেন তিন-চারজন। প্রতিক্রিয়া জানাতে আনন্দে গিয়ে কেঁদে ফেলেন এলাকার যুবক রাজু রিয়াং। সংঘ পরিবারকে সে জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। বলেন, আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রিয়াং-অরিয়াং ব্যবসায়ীরা।
সংঘের সঙ্গে জড়িত শিলচরের অসিত চক্রবর্তী কিছুদিন ধরেই মিজোরামের প্রত্যন্ত গ্রামে অবস্থান করছেন। বললেন, তিনি কিছুই করছেন না। বিধিবিধান বলে দিলে তাঁরা নিজেরাই সমস্ত করে নিচ্ছেন। মঙ্গলবার মণ্ডপ থেকে সাত কিলোমিটার দূরে সাজাই নদীতে প্রতিমা বিসর্জন করা হবে। সে জন্যও সব ধরনের প্রস্তুতি সেরে রেথেছেন তাঁরা।