Barak UpdatesHappeningsBreaking News
একাগ্রতা-সাধনার জন্যই শ্রীঅরবিন্দ সকলের চেয়ে আলাদা, গ্রন্থ উন্মোচন করে বললেন স্বামী গণধীশানন্দ
ওয়েটুবরাক, ১৭ ডিসেম্বরঃ শ্রীঅরবিন্দের জন্ম সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে শ্রীঅরবিন্দ বার্তা বিনিময় হলো গত বৃহস্পতিবার, শিলচর কল্যাণ আশ্রমে। সঙ্গে উন্মোচিত হলো মানস ভট্টাচার্যের লেখা গ্রন্থ ‘মানবপ্রেমিক শ্রীঅরবিন্দ’। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে শিলচর রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমের সচিব স্বামী গণধীশানন্দ মহারাজ শ্রীঅরবিন্দের জীবনের নানা দিক বিশ্লেষণ করে মনের প্রসারতার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, মন সতত চঞ্চল। একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। মানুষের কামনা-বাসনার শেষ নেই। এক চাহিদা মিটে গেলেই আরেকটার সৃষ্টি হয়। কিছুতেই এর শেষ বা পরিতৃপ্তি নেই। বরং ত্যাগেই আনন্দ মেলে। তাঁর কথায়, মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ বা ত্যাগের আনন্দ, যে কথাই বলা হোক না কেন, এর জন্য প্রয়োজন একাগ্রতা, সাধনা। শ্রীঅরবিন্দ তাঁর একাগ্রতা-সাধনার মাধ্যমেই অন্যদের চেয়ে পৃথক হয়ে রইলেন ।
শিলচর এনআইটি-র ডিরেক্টর শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শ্রীঅরবিন্দ আট বছর দেশের স্বাধীনতার জন্য সক্রিয় আন্দোলন করেছেন বটে, তবে তাঁর পরের চল্লিশ বছরও স্বাধীনতা সংগ্রামেরই অংশ। নিজের স্বাধীনতা, দেশের স্বাধীনতাকে ছাড়িয়ে তিনি বিশ্বমানবের স্বাধীনতার জন্য কাজ করে গিয়েছেন। শ্রীঅরবিন্দ তিন প্রকারের শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছেন। শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক। প্রতিটির গুরুত্ব বুঝিয়ে বলেন ডিরেক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়৷
যুগশঙ্খ পত্রিকাগোষ্ঠীর চেয়ারম্যান বিজয়কৃষ্ণ নাথ, গ্রন্থকার মানস ভট্টাচার্য, শ্রীঅরবিন্দ সোসাইটির রাজ্য শাখার যুগ্ম সচিব প্রদীপ্ত দাসও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথি সহ মঞ্চে উপবিষ্ট বিশিষ্টজনেদের হাতেই মানস ভট্টাচার্যের লেখা ‘মানবপ্রেমিক শ্রীঅরবিন্দ’ গ্রন্থটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন হয়।
শুরুতেই সবাইকে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় স্বাগত জানান সোসাইটির শিলচর শাখার সভাপতি মহামায়া দেব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গুরুচরণ কলেজের শিক্ষক ড. অপ্রতিম নাগ।
ধ্যানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সমাপ্ত হয় সবাই দাঁড়িয়ে বন্দেমাতরম গেয়ে। সঙ্গীত পরিবেশন করেন নীলাঞ্জনা চক্রবর্তী।