India & World UpdatesHappeningsBusinessBreaking News
উপত্যকায় বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রচারে বাংলাভাষা নেই, ক্ষুব্ধ বরাক বঙ্গ
ওয়েটুবরাক, ১৯ আগস্ট : ‘বন্ধন ব্যাঙ্ক’ তাদের প্রচার মাধ্যমে অসম সরকারি ভাষা আইন ক্রমাগত লঙ্ঘন করে চলেছে৷ তাতে বরাক উপত্যকার জনগণের আবেগকে আঘাত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উত্থাপন করল বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সন্মেলন। বরাক উপত্যকায় প্রচারিত বিজ্ঞাপন ও অন্যান্য প্রচারে বাংলা ভাষা ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে তারা।
বরাকবঙ্গের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গৌতম প্রসাদ দত্ত ‘বন্ধন ব্যাঙ্ক’-এর মুখ্য প্রশাসনিক কর্তা চন্দ্রশেখর ঘোষকে চিঠি দিয়ে এ সম্পর্কে উপত্যকার প্রতিক্রিয়া ও দাবির কথা জানিয়েছেন। বিষয়টি সম্পর্কে ব্যাঙ্কের প্রচার ও যোগাযোগের দায়িত্বে থাকা সর্বোচ্চ কর্তাদেরও অবহিত করা হয়েছে।
বন্ধন ব্যাঙ্কের সর্বময় কর্তাকে দেওয়া চিঠিতে বরাকবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক দত্ত অসম সরকারি ভাষা আইনের সংশোধিত ৫ নং ধারা এবং ১৯৬৪ সালের ২৪ জুলাই প্রকাশিত এ সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি ও সংশ্লিষ্ট বিধির বিষয়টি সবিস্তারে তুলে ধরে বলেছেন, যেখানে অসম সরকার বরাক উপত্যকায় সরকারি বিজ্ঞাপন এবং অন্যান্য প্রচার বাংলায় করে যাচ্ছে সেখানে বন্ধন ব্যাঙ্ক ক্রমাগত তা লংঘন করে চলেছে। ভাষা নিয়ে স্থানীয় ভাবাবেগকে এভাবে অমর্যাদা করা খুবই পরিতাপের।
চিঠির সঙ্গে মাইক্রো ফাইনান্স সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে বাংলায় প্রচারিত সাম্প্রতিক বিজ্ঞাপনের মুদ্রিত কপি জুড়ে দিয়ে সাধারণ সম্পাদক দত্ত সমগ্র বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। সরকারের গৃহীত এই নীতি অন্যান্য বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকও যে অনুসরণ করে বাংলায় বিজ্ঞাপন দিচ্ছে তার প্রমাণ হিসেবে সে সবের কয়েকটি মুদ্রিত কপিও সঙ্গে দিয়েছেন ।
চিঠিতে বরাকবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক দত্ত বরাক উপত্যকার জনবিন্যাসের চিত্রটি তুলে ধরে বলেছেন, এখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষা বাংলা । অন্যান্য ভাষাভাষী মানুষ নিজেদের মাতৃভাষা চর্চা করলেও বাংলা তাদের যোগাযোগের ভাষা । এই উপত্যকায় বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষার জন্য গত ছয় দশক ধরে পর্যায়ক্রমে ভাষা আন্দোলন এবং ভাষার জন্য বহমান সংগ্রামের কথা তুলে ধরে দত্ত বলেছেন, অসম সরকার বিধানসভার ভেতরে ও বাইরে পরিষ্কারভাবেই ঘোষণা করেছে, বরাক উপত্যকার আঞ্চলিক সরকারি ভাষা বাংলা এবং সরকার সেটাকে মান্যতা দেয় । এই পরিস্থিতিতে বন্ধন ব্যাঙ্ক সম্পূর্ণ উল্টো পথে চলায় খেদ ব্যক্ত করেন দত্ত৷
তিনি বলেন, বরাক উপত্যকায় ব্যবসা-বাণিজ্য করছে এমন অনেক বাণিজ্যিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মধ্যে উপত্যকার আঞ্চলিক সরকারি ভাষা হিসেবে বাংলার পক্ষে যে আইনি সংস্থান রয়েছে, তাকে মান্যতা না দেওয়া প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। উপত্যকার আত্মপরিচয় ও ভাষার অধিকার ক্ষুন্ন করার যে কোনও চেষ্টা প্রতিহত করার জন্য বরাকবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রয়াস চালিয়ে যাওয়ার আবেদন রেখেছেন।