Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্বোধন হলো ২৭ প্রজাতির লতা, গুল্ম, বৃক্ষে তৈরি নক্ষত্র-বনের
ওয়েটুবরাক, ১ মার্চ : আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আজ একটি ‘নক্ষত্র-বন’ স্থাপন করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিয়ে আসা প্রায় ২৭টি বিভিন্ন প্রজাতির লতা, গুল্ম এবং বৃক্ষের চারা এই নক্ষত্র-বনে রোপণ করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের জিবি পন্থ ইন্সটিটিউট অব হিমালয়ান স্টাডিস-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর কিরেট কুমার, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রাজীব মোহন পন্থ, দক্ষিণ আসাম মুখ্য বন সংমন্ডল আধিকারিক পি শিবকুমার, কাছাড়ের ডিএফও তেজস মরিস্বামী, বিভাগীয় ডিন অধ্যাপক পার্থঙ্কর চৌধুরী সহ উপস্থিত অন্যান্য অতিথিদের হাত দিয়ে এই উদ্যানটি উন্মোচিত হয়।
বিভিন্ন বক্তা গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন, কোনও দেশের সংস্কৃতি নির্ভর করে তার পরিবেশ, প্রকৃতি এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ওপর। এই দৃষ্টিকোণ থেকে, বৈদিক সাহিত্য আমাদের তথা বিশ্বের জন্য খুবই উপযোগী। বেদে উল্লেখিত হাজার হাজার বছর আগে সনাতন ভারতের সাধু সন্তরা তাঁদের সাধনা লব্ধ জ্ঞান দিয়ে যে কোনও মূল্যে পরিবেশের আদি ও অকৃত্রিম অবস্থা রক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
সনাতন ভারতীয় ধ্যান ধারণা এটা সমর্থন করে যে, মহাবিশ্বের প্রতিটি উপাদান পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং এগুলো সবই মহাজাগতিক শক্তি, সৌরজগৎ এবং নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ দ্বারা প্রভাবিত। এ সব কিছুই সাধারণভাবে মানুষের জীবন এবং পরিবেশের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে সক্ষম। সুপ্রাচীন বিভিন্ন পাণ্ডুলিপিতেও ভেষজ, গুল্ম, লতা, গাছ এবং জীববৈচিত্র্যের সাথে বাস্তুতান্ত্রিক পরিষেবাগুলির সম্পর্কের কথার উল্লেখ রয়েছে।
উদ্যানটি স্থাপনের দ্বায়িত্বে ছিলেন পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক অজিত কুমার দাস এবং ড. শোভন দত্তগুপ্ত । এছাড়াও ড. অরুনজ্যোতি নাথ, ড. পান্না দেব সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছেন। নক্ষত্র-বনে রোপণ করা গাছগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বৈজ্ঞানিক তথ্য বারকোড স্ক্যান করে মোবাইল দিয়ে জানা যাবে। এই কাজটিতে সহায়তা করেছেন অ্যাগ্রি-ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ মৌসম সন্দিকৈ। মূলত, উপাচার্য অধ্যাপক পন্থের ভাবনাপ্রসূত এই ‘নক্ষত্র-বন’ এতদঞ্চলে বিভিন্ন দুর্লভ প্রজাতির সংরক্ষণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে উপস্থিত অনেকে মত প্রকাশ করেন।