NE UpdatesHappeningsBreaking News
ইম্ফলের রাস্তায় রাস্তায় মেইতেই মহিলাদের টহল
ওয়েটুবরাক, ২ জুলাই : শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের ‘বিতর্কিত’ ইস্তফা ঠেকাতে সফল হওয়ার পরে মণিপুরে মেইতেই মহিলাদের শক্তি ও মনোবল দুইই বেড়ে গিয়েছে। শনিবার পশ্চিম ইম্ফল জেলার খুরাঙে তাঁরা মহিলা সমাবেশের আয়োজন করে৷ সেখানে মেইতেই মহিলারা একযোগে আওয়াজ তোলেন, বীরেন সিংহের পদত্যাগ চলবে না। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের কোনও প্রয়াস তাঁরা মেনে নেবেন না। জিরিবামের মহিলা মিছিলেও একই স্লোগান ওঠে। তাঁদের কথায়, বীরেন সিংহের ইস্তফা মানেই জঙ্গির কাছে মেইতেইদের আত্মসমর্পণ। এটা কোনও মতেই মেনে নেওয়া যায় না। ইম্ফলের রাস্তায় রাস্তায় এখন মহিলা টহল চলছে। গাড়ি-মোটর সাইকেল যেতে বাধা না দিলেও সন্দেহভাজনদের দাঁড় করিয়ে নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করছেন। কেউ কম কথাতেই যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, কারও ক্ষেত্রে চলে টানা জেরা।
বর্তমান সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হিসেবে এনআরসি-র দাবি তুলল বিভিন্ন মেইতেই সংগঠন। নাগরিক পঞ্জি প্রণয়নের মাধ্যমে ভূমিপুত্রদের সুরক্ষা চেয়ে শনিবার ইম্ফলের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অবশ্য এ দিন দাবি করেন, মণিপুরের অবস্থা ক্রমে উন্নতির পথে। আগামী কিছু দিনের মধ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে। নর্থ-ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (নেডা)-র আহ্বায়ক হিসেবে উত্তর-পূর্বে বিজেপি রাজনীতির কৌশল নিরূপণে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেন তিনি। কিছুদিন ধরেই হিমন্ত মেইতেই-কুকি সব জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলে চলেছেন। সংঘর্ষবিরতি মেনে চলা কুকি জঙ্গিরাও তাঁর সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত বলেই জানিয়েছেন।
রাহুল গান্ধীর নামোল্লেখ না করলেও আসামের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস নেতাদের সমালোচনায় মুখর হন। বলেন, তীব্র সঙ্কটের সময় কোনও নেতাকে মণিপুরের দিকে পা বাড়াতে দেখা গেল না। এখন সব যখন ঠিক হয়ে আসছে, তখনই তাদের মণিপুরের কথা মনে পড়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বর্তমান সরকার ব্যর্থ বলে কংগ্রেসের অভিযোগের জবাব দিলেন বীরেন সিংহ৷ তিনি শনিবার কংগ্রেসের ঘাড়েই দায় চাপিয়ে বলেন, “সমস্যাটা কোথা থেকে এসেছে, এর গভীরে যেতে হবে৷ কুকি-মেইতেই সংঘর্ষ মাত্র দুই-তিন বছরের ঘটনা৷ কিন্তু কুকি জঙ্গিগোষ্ঠীর জন্ম-বৃদ্ধি কবে? ২০০৫ থেকে ১৩ বছর তাঁদের শুধু বাড়তে দেওয়া হয়েছিল৷ এখন এরই পরিণতি ভুগতে হচ্ছে৷”
এ দিকে, মণিপুরে সংঘর্ষ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী কৌশল বদলাচ্ছে। এখন বিভিন্ন বাহিনী সবাই মিলে সব জায়গায় কাজ করে চলেছে। নতুন কৌশলে এক-এক বাহিনীকে এক-এক জেলার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।