Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ইতিহাস সংকলন সমিতির উদ্যোগে কাছাড় ইতিহাস বার্তার উন্মোচন
ওয়েটুবরাক, ২৩ মে : ভারতীয় ইতিহাস সংকলন সমিতির কাছাড় জেলা কমিটির উদ্যোগে বুধবার শিলচরের মনমোহন ঘোষ- অনিল দাস মেমোরিয়াল কলেজে এক আলোচনা সভা ও সমিতির কাছাড় জেলা কমিটির বার্ষিক পত্রিকা উন্মোচন করা হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। ভারতীয় ইতিহাস সংকলন সমিতির কাছাড় জেলা কমিটির সভানেত্রী সুপর্ণা রায়ের সভানেত্রীত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির কাছাড় জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডঃ জয়দীপ গোস্বামী। মনমোহন ঘোষ- অনিল দাস মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ প্রণয় রঞ্জন দেব ইতিহাস চর্চার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। সমিতির আসাম রাজ্য কমিটির সম্পাদক ডঃ নীলাঞ্জন দে বরাক উপত্যকার স্থানীয় ইতিহাস চর্চার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এ বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। ভারতীয় ইতিহাস সংকলন যোজনার রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত ধিং মজুমদার বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় ইতিহাসকে কিভাবে বিকৃত করা হয়েছে তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
দেশ, রাজ্য ও বরাক উপত্যকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে যা এখনও প্রকাশিত হয়নি বা বিকৃত করে প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিকভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরতে ইতিহাস সংকলন সমিতি কাজ করছে বলে জানান তিনি। এরপর সমিতির কাছাড় জেলা কমিটির বার্ষিক পত্রিকা “কাছাড় ইতিহাস বার্তা” র উন্মোচন করেন উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।এই পত্রিকাটির সম্পাদনা করেছেন সমিতির লেখিকা প্রমুখ ডঃ মুন্নি দেব মজুমদার। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আয়োজিত আলোচনা সভার বিষয়বস্তু ছিল “কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ইতিহাস”। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক নিরঞ্জন রায় প্রাঞ্জল ভাষায় বিষয়টির উপর বক্তব্য রাখেন। তিনি কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। বলেন, কৃষির উন্নয়ন না হলে শিল্পের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কারণ শিল্প কাঁচামালের জন্য কৃষির উপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, ভারতবর্ষ বর্তমানে কৃষি ও শিল্প দুটি ক্ষেত্রের উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে সমিতির কাছাড় জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ডঃ গঙ্গেশ ভট্টাচার্য, মনমোহন ঘোষ- অনিল দাস মেমোরিয়াল কলেজের দুই সঞ্চালক মনোজ ঘোষ ও সঞ্জীব দাস সহ সমিতির সদস্য ডঃ রূপশ্রী পাল, উষা কুমারী শাহ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।