Barak UpdatesHappeningsBreaking News

আসাম কলেজ লাইব্রেরিয়ানস অ্যাসোসিয়েশন ও উইমেন্স কলেজের যৌথ আয়োজনে শিলচরে জাতীয় গ্রন্থাগারিক দিবস 

ওয়েটুবরাক, ১২ আগস্ট: গ্রন্থাগার বিজ্ঞানের জনক পদ্মশ্রী অধ্যাপক এস আর রঙ্গনাথনের ১৩১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যৌথভাবে জাতীয় গ্রন্থাগারিক দিবস উদযাপন করল আসাম কলেজ লাইব্রেরিয়ানস অ্যাসোসিয়েশন (এসিএলএ) বরাকভ্যালি জোনাল ইউনিট ও উইমেন্স কলেজ শিলচর।

উইমেন্স কলেজের ভগিনী নিবেদিতা প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে অধ্যাপক এস আর রঙ্গনাথনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-তে কলেজ শিক্ষা পাঠ্যক্রমে একটি বিষয় হিসাবে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্তির পেছনে বিশেষ অবদানের জন্য এসিএলএর তরফ থেকে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. মুকুট শর্মাকে বিশেষ ভাবে সম্মানিত করা হয়। তিনিই ছিলেন এ দিনের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও মুখ্য বক্তা৷ এদিনের অনুষ্ঠানে বরিষ্ঠ লাইব্রেরিয়ান শিলচর রাধামাধব কলেজের ড. সোনালি চৌধুরী, শিলচর মহিলা কলেজের ড. সরিতা ভট্টাচার্য্য ও  সোনাই মাধব চন্দ্র দাস কলেজের লাইব্রেরিয়ান মিহির কান্তি নাথকে ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরিয়ান্স ডে” উপলক্ষে সম্মানিত করা হয়।

নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির বিশেষ রেফারেন্স সহ  ড. শর্মা বলেন, গ্রন্থাগারগুলিকে ছাত্রছাত্রীদের ও শিক্ষক-গবেষকদের জন্য আরও উপযোগী করে তোলার সেবায় এসিএলএ এবছর তাদের সুবর্ণ জয়ন্তী বছর উদযাপন করছে।
তাঁর কথায়, লাইব্রেরি হলো যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাণকেন্দ্র এবং গ্রন্থাগারের সঠিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের আন্তরিক সমর্থন এবং সহযোগিতা অতি আবশ্যক। গ্রন্থাগারিক এবং কর্মীরা যেভাবে তাদের নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন, জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের সাথে সাথে তাঁদের দায়িত্ব বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। নিজের খুশি ব্যক্ত করে ড. শর্মা আরো বলেন, জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০-র অধীনে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজ গুলিতেও এবার থেকে ডিগ্রি কোর্সে লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফর্মেশন সায়েন্স অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং ইতিমধ্যে বিভিন্ন কলেজে উক্ত কোর্সে পড়াশোনার জন্য বহু ছাত্র ছাত্রী আবেদন করেছে। এই কোর্স সম্পন্ন করলে আখেরে লাভবান হবেন পড়ুয়ারা, মন্তব্য করেন ডঃ মুকুট শর্মা। কলেজ লাইব্রেরিয়ানদের উচ্চ প্রশংসা করে কলেজের উন্নয়নে আরও সক্রিয় ভাবে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ ড. দেবশ্রী দত্ত বলেন, গ্রন্থাগারগুলির কার্যকারিতার জন্য দক্ষ গ্রন্থাগারিক প্রয়োজন। গ্রন্থাগারিকদের কর্মকাণ্ডের সর্বত্র প্রযুক্তির বিকাশ বহুগুণে প্রসারিত হয়েছে এবং উপলব্ধ সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করে গ্রন্থাগারিকরা স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে আরও আগ্রহ তৈরি করতে পারেন এবং তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানকে পরবর্তী স্তরে উন্নীত করতে পারেন।

কাবুগঞ্জ জনতা কলেজের অধ্যক্ষ ড. দেবাশিস পাল এই উপলক্ষে গ্রন্থাগারিকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, লাইব্রেরিগুলি কেবল সংশ্লিষ্ট কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মচারীদের জন্য নয়, সমাজের জ্ঞানপিপাসু মানুষের জন্যও খোলা থাকতে হবে যাতে লোকেরা বই পড়ার প্রতি আরও আগ্রহী হোন। বড়খলা সরকারি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. সাহাবুদ্দিন আহমেদ পদ্মশ্রী প্রফেসর এস আর রঙ্গনাথনের জীবন ও কর্মের প্রতিফলন তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে সকলকে স্বাগত জানান উইমেন্স কলেজের গ্রন্থাগারিক  ড. সরিতা ভট্টাচার্য। গুরুচরণ কলেজের গ্রন্থাগারিক ড. সেহনারা বেগম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং রাধা মাধব কলেজ শিলচরের গ্রন্থাগারিক তথা এসিএলএর জোনাল কো-অর্ডিনেটর ড. সোনালী চৌধুরী গোটা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker