NE UpdatesHappeningsBreaking News
রাজ্যসভা ভোটে হেরে কংগ্রেস নেতারা কাজিয়ায় ব্যস্ত
ওয়েটুবরাক, ৪ এপ্রিল : রাজ্যসভা নির্বাচনে ক্রসভোট কংগ্রেস-ইউডিএফ কাদা ছোঁড়াছুড়ি অব্যাহত। কংগ্রেসের মধ্যেও লেগেছে কাজিয়ার ধুম, কুশপুতুল পোড়ানোর প্রতিযোগিতা।
নিশ্চিত আসনটি হারানোর পর কংগ্রেস নেতৃত্ব একেবারে দিশাহারা৷ দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদকে সাসপেন্ড করলেও বিতর্ক থামছে না৷ বরং নেতারাই কাজিয়া সংস্কৃতির গোড়ায় ধোয়া দিচ্ছে৷ এর বাইরে অবশ্য কিছু করারও নেই তাদের। কারণ আর এক বিধায়ক শশীকান্ত দাস যে বিজেপি-কেই ভোট দেবেন, তা তাঁকে সামনে রেখেই সাংবাদিকদের শুনিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। কিন্তু তাঁকে আগেই দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরার দাবি, কংগ্রেসের শুধু দুটি ভোট নষ্ট হয়েছে। সিদ্দেক আহমেদ শাসক জোটকে সরাসরি ভোট না দিলেও ভোট নষ্ট করে বিজেপিকেই সাহায্য করেছেন। বাকি ক্রসভোটের সবকটি ইউডিএফ-এর।
তাঁর কথায়, এই নির্বাচনে আজমলের দলের চরিত্র অসমের মানুষের সামনে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এরা যে ব্যবসায়িক কারণেই রাজনীতি করে, তা স্পষ্ট। সে জন্যই বিধানসভা নির্বাচনের পর মহাজোট ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি ভূপেন বরার। বলেন, জনগণই অসমের মাটি থেকে এদের নির্মূল করবে।
ইউডিএফ নেতা রফিকুল ইসলামের পাল্টা দাবি, ইউডিএফ-এর একটি ভোটও বিজেপি পায়নি। কংগ্রেস তাদের সাত গদ্দারকে চিহ্নিত করুক। কংগ্রেসের জোট ভাঙা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরাই আর কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যাব না। এদের নেতৃত্ব বলতে কিছু নেই। বড় দুর্বল। তাই আমরা একলা চলার নীতিই নিচ্ছি।” শীঘ্রই দল এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান রফিকুল৷
অন্যদিকে, কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়্স্থ শনিবার অভিযোগ করেছিলেন, ইউডিএফ রিপুণ বরার কাছ থেকে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা নিয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্ব একে কমলাক্ষের ব্যক্তিগত মন্তব্য বলে এড়িয়ে যায়। কমলাক্ষ রবিবার স্বীকার করেন, তাঁর কাছে এই লেনদেনের কোনও প্রমাণ নেই।