Barak UpdatesHappeningsCultureBreaking News
অনুষ্ঠান কাটছাঁট করেও মর্যাদার সঙ্গে বরাক বঙ্গের ভাষাশহিদ দিবস পালন
ওয়েটুবরাক, ১৯ মে : প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার দরুন ভাষাশহিদ দিবস পালনের বিভিন্ন কর্মসূচি বাতিল করলেও বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের শিলচর শহর আঞ্চলিক সমিতির পক্ষ থেকে আজ মর্যাদার সঙ্গে ভাষাশহিদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়৷ সকাল সাড়ে ছয়টায় রেলস্টেশনে, আটটায় শ্মশানঘাটে এবং বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে গান্ধীবাগের শহিদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পাশাপাশি বেলা একটায় বঙ্গভবন প্রাঙ্গণেও শহিদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়৷ সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌতমপ্রসাদ দত্ত বলেন, বরাক উপত্যকায় ঊনিশ মানেই জেগে থাকার কথা মনে করিয়ে দেওয়ার দিন৷ এই জেগে থাকা চাই ৩৬৫ দিনের জন্য৷ ভাষা আগ্রাসনবাদীরা নিত্য ছুঁতো খুঁজছে৷ সজাগ না থাকলে সর্বনাশ হয়ে যাবে৷
বঙ্গভবনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গুয়াহাটির শংকরদেব অ্যাকাডেমির শিক্ষিকা মীনাক্ষি চক্রবর্তীও৷ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সভাপতি সঞ্জীব দেবলস্কর, আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি সব্যসাচী পুরকায়স্থ, দীপক সেনগুপ্ত, বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য, দিলীপকুমার দে, অভিজিৎ ধর, শিপ্রা পুরকায়স্থ, শৈবাল গুপ্ত, অতনু ভট্টাচার্য, সুশান্ত সেন, বকুলচন্দ্র নাথ, কৃষ্ণগোপাল হালদার, বাপী রায়, গোবিন্দ কংসবণিক, শ্যামল বণিক, সঞ্জয় দেবলস্কর, বিপ্লব মজুমদার, পার্থসারথী দাস, অমিতাভ পাল, হৃষীকেশ চক্রবর্তী, পিনাকীভূষণ দত্ত প্রমুখ৷ পরে সবাই মিলে যান গান্ধীবাগের শহিদ স্মৃতিসৌধে৷ সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দীপক সেনগুপ্ত বলেন, বরাক উপত্যকায় বাংলা সরকারি ভাষা৷ এ কোনও সহযোগী ভাষা নয়৷ এই সরকারি ভাষার স্বীকৃতি আদায়েই একাদশ তরুণ-তরুণীকে প্রাণ দিতে হয়েছিল৷ তাই অর্জিত অধিকারকে যে কোনও মূল্যে ধরে রাখতে হবে৷ সঙ্গীত-কবিতাতেও গান্ধীবাগে সদস্যরা ভাষাজননীর জয়ধ্বনি দেন৷
এ দিন ভাষাশহিদ স্টেশন শহিদ স্মরণ সমিতি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বঙ্গ সাহিত্যের শিলচর শহর আঞ্চলিক সমিতির সম্পাদক উত্তমকুমার সাহা বক্তব্য রাখেন৷ তিনি বলেন, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কর্তারা নিজেদের স্বার্থে বরাকের মানুষের মধ্যে বিভাজন ধরানোর চেষ্টা করেন৷ তবু এই উপত্যকায় প্রতিটি জনগোষ্ঠীর মানুষ বহুভাষিক চরিত্রকে অক্ষুণ্ণ রেখেছেন৷ এটাই এখানে ভাষাশহিদ দিবস পালনের মূল সুর৷