Barak UpdatesHappeningsBreaking News
অধ্যক্ষ নিযুক্তির খবর ঘিরে বলেশ্বর স্কুলে বিক্ষোভ
ওয়েটুবরাক, ৩ আগস্ট : বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মফুর উদ্দিনকে সরিয়ে অত্যন্ত গোপনে কাটিগড়ার সিদ্ধেশ্বর স্কুলের সহকারী শিক্ষক মুছব্বির আলিকে জালালপুরের বলেশ্বর উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্থায়ী অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্তি দেওয়ার ‘খবরে’ ফুঁসে উঠলো স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী এবং নেতাজি সংঘ, পিস, স্মাইলের মত স্থানীয় কিছু সংগঠন। আজ মঙ্গলবার সকাল নটা বাজতেই স্কুলের ছাত্র এবং সংগঠনের সদস্যদের ভিড় জমতে থাকে স্কুলের মেন গেটের সামনে। গতকালও স্কুলের গেটের সামনে দিনভর বিক্ষোভ-অবরোধ দেখিয়েছে এবারের মেট্রিকে ফেল ছাত্রছাত্রীরা। তারা তাদের প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। তাদের দাবি ছিল, সকলকে পরীক্ষায় পাশ করানো হোক। আজকের জমায়েতের উদ্দেশ্য ছিলো, স্থায়ী অধ্যক্ষ হিসেবে নতুন নিযুক্তি পাওয়া মুছব্বির আলিকে কাজে যোগ দিতে না দেওয়া।
স্থায়ী অধ্যক্ষ পদে নিযুক্তির জন্য ২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল। এই উদ্দেশ্যে সরকার সিলেকশন কমিটিও গঠন করে। যোগ্যতা অনুযায়ী সিলেকশন লিস্টের প্রথমে আছেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মফুর উদ্দিন, দ্বিতীয় স্থানে আছেন স্কুলেরই শিক্ষক জ্যোতির্ময় নাথ, তৃতীয় সিদ্ধেশ্বর হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক মুছব্বির আলি এবং চতুর্থ স্থানে আছেন বলেশ্বর স্কুলের আরেক শিক্ষক বিজিত কুমার দাস। কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারীকে বঞ্চিত করে কীভাবে তৃতীয় স্থানাধিকারীকে স্থায়ী অধ্যক্ষ পদে নিযুক্তি দিল রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ– এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ছাত্র এবং সংগঠনগুলো। তারা কোন ভিত্তিতে এই নিযুক্তি হয়েছে তা না জেনে কোনও ভাবেই কাউকে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হবে না বলে দৃঢ় ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।
নেতাজি সংঘের পক্ষ থেকে নিরুপম নাথ বলেন, মেট্রিকের রেজাল্ট নিয়ে ইতিমধ্যে একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ সমস্যা নিয়ে যখন স্কুল কর্তৃপক্ষ, স্কুল ইন্সপেক্টর এবং জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন, ঠিক এ সময়ে অনৈতিকভাবে স্কুলে অধ্যক্ষ নিযুক্তির প্রচেষ্টাকে মেনে নেবেন না। তারা আগে মেট্রিক ফেল ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা সমাধান চান। এরপর কাকে অধ্যক্ষ নিয়োগ করা হবে, তা নিয়ে শিক্ষা বিভাগ এবং সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সকাল নটা থেকে বেলা বারোটা অব্দি তারা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তবে আজ স্কুলে কেউ অধ্যক্ষ হিসেবে কাজে যোগ দিতে যাননি।
বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে তাহির লস্কর জানায়, তারা শুধু আগামীকাল এবং পরের দিনগুলোতেও স্কুলের গেটের সামনে অবরোধ জারি রাখবেন যাতে নতুন কেউ অধ্যক্ষ পদে কাজে যোগ দিতে না পারেন। তারপরও যদি তাদের অজান্তে গোপনে কোনভাবে কেউ অধ্যক্ষ হিসেবে কাজে যোগ দেবার চেষ্টা করেন, তাহলে তারা আন্দোলন গড়ে তুলবেন। এব্যাপারে বর্তমান অধ্যক্ষের কোনও মতামত জানা যায়নি। তিনি মেডিকেল লিভ নিয়ে গুয়াহাটিতে চিকিৎসার জন্য গেছেন বলে জানা গিয়েছে৷ তবে কোন সূত্রে তাঁরা স্থায়ী অধ্যক্ষ নিযুক্তি সংক্রান্ত তথ্য পেলেন, তা কেউ বলতে পারছেন না৷ তাহলে কী ভাবে আচমকা বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে, এই প্রশ্নেরও স্পষ্ট জবাব কারও কাছে নেই৷