NE UpdatesBarak UpdatesHappenings

করোনা চিকিৎসককে পেটালেন লক্ষীপুরের এসডিপিও, অভিযোগে প্রতিক্রিয়া
Doctor allegedly beaten by cops at Lakhipur, SP assures proper enquiry

As I find myself disturbed, weak & helpless, I am seeking justice, says Dr Indadul Mazumdar

ওয়েটুবরাক, ২৩ মেঃ করোনা পর্বে চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতায় যত শব্দ ব্যবহার করা যায়, সবই খুঁজে বের করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা-রা। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন কোভিডে আক্রান্ত এবং তাদের পরিজনেরাও। সাধারণ মানুষও ডাক্তাররা যে ভাবে পিপিই কিট পরে সেবাকার্য চালিয়ে যাচ্ছেন, এ নিয়ে চর্চা করে চলেছেন। এই সময়ে বিপরীত কাণ্ড ঘটল কাছাড় জেলার লক্ষীপুর মহকুমায়। পয়লাপুলে পুলিশের হাতে প্রহৃত হয়েছেন এক তরুণ চিকিতসক ইনদাদুল হোসেন মজুমদার। অভিযোগ, পিটিয়েছেন খোদ এসডিপিও পার্থপ্রতীম দাস। এ নিয়ে চিকিৎসক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ জনতাও। পুলিশ সুপার বৈভব নিম্বলকর চন্দ্রকান্ত জানিয়েছেন, নিরপেক্ষ তদন্ত হবে।

ডা. ইনদাদুল তেজপুর মেডিক্যাল কলেজে ইন্টার্নশিপ করছিলেন। কোভিডের দরুন দ্রুত তাদের নিযুক্তি দিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁর পোস্টিং হয়েছে খারুপেটিয়ায়। শুরুতেই কোভিড ওয়ার্ডে গিয়ে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। তিনি সরকারি নির্দেশ মেনে খারুপেটিয়ায় এ সংক্রান্ত নথিপত্র জমা করেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাবেন বলে প্রস্তুতিমূলক ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন। ডাক্তারদের কার্ফুর মধ্যে চলাচলে বাধা না থাকলেও তিনি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাছাড়ের জেলাশাসকের অনুমতিও সংগ্রহ করেন।

কাল শনিবার রাতে পয়লাপুলে তাঁকে আটকান এসডিপিও-র নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী। ইনদাদুলের অভিযোগ, তিনি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিতেই এসডিপিও ‘ডাক্তার হলে কী হল’ বলেই তাঁকে চড় মারেন। কলার ধরে গাড়ি থেকে বের করে আনেন। এর পরেই সঙ্গে থাকা খাকি উর্দিধারীরা তাঁকে ও তাঁর গাড়িচালককে নাগাড়ে লাঠিপেটা করতে থাকে। পরে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় লক্ষীপুর থানায়। সেখানে জোর করে পুলিশের কর্তব্যে বাধাদানের দরুন ক্ষমা প্রার্থনা করানো হয়।

এই খবরে আজ রবিবার ডাক্তাররা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সবাই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এসডিপিও-র শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হন তাঁরা। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন অনেকে৷ ইনদাদুল বলেন, “আমি বড় মর্মাহত। শারীরিক ও মানসিকভাবে ধ্বস্ত বোধ করছি। এই অবস্থায় কবে যে স্বাভাবিক হয়ে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রোগীদের পাশে দাঁড়াতে পারব!”

কাছাড়ের পুলিশ সুপার বৈভব নিম্বলকর চন্দ্রকান্ত জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি জানতে পেরে নিজে উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ দুইয়ের বক্তব্যে যথেষ্ট অমিল৷ এসডিপিও-র বক্তব্য, তিনি কার্ফুর মধ্যে কেন গাড়ি নিয়ে ঘুরছেন, এ কথাটাই বলতে চাননি৷ কোনও আইডেন্টিটি কার্ড বা অনুমতিপত্রও দেখাননি৷ এসপির আশ্বাস, এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হবে৷ সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker