Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বরাকের সিইউইটি পরীক্ষার্থীদের বাংলা পরীক্ষা ভিন রাজ্যে, তীব্র প্রতিক্রিয়া
ওয়েটুবরাক, 20 মেঃ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যারা এ বার পাশ করেছে, তারা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কলেজগুলিতে ভর্তি হতে চাইলে সিইউইটি পরীক্ষায় বসা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বরাক উপত্যকা ও ডিমা হাসাও জেলার সমস্ত কলেজ আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হওয়ায় এই অঞ্চলে এ বার কলেজে ভর্তি চাইলে সিইউইটিতে বসতেই হবে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) এই প্রবেশিকা বা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিজ এন্ট্রান্স টেস্ট পরিচালনার দায়িত্বে। তারা করিমগঞ্জ-হাইলাকান্দিতে কোনও পরীক্ষাকেন্দ্র করেনি। ফলে সবাইকে শিলচরে এসে এন্ট্রান্সে বসতে হচ্ছে। এর চেয়ে বড় বিস্ময়কর, বরাক উপত্যকার বাংলা বিষয়ের পরীক্ষার জন্য কেন্দ্র করা হয়েছে ব্রহ্মপুত্রের বিভিন্ন জেলা এবং ত্রিপুরা, মণিপুর ও মেঘালয়ে।
এই কথা রবিবার জানাজানি হতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সোমবার বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের তরফে এনটিএর ডিরেক্টর জেনারেল এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠানো হয়। দুইজনকেই একটি করে কপি মেলে পাঠানো হয়, আর এক কপি কাছাড়ের অতিরিক্ত জেলাশাসক যুবরাজ বরঠাকুরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাঁরা তাতে জানান, বৃষ্টির দিনে রেলপথ ও সড়কপথের বিরাট অনিশ্চয়তা। এর ওপর রয়েছে, থাকা-খাওয়ার জন্য অর্থের ব্যবস্থা করা। তাতে গরিব পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা এখানেই শেষ হয়ে যাবে। তাঁরা তাই বরাকের মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্র করার দাবি জানান।
ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনিও এনটিএ-র চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি পাঠিয়ে একই দাবি করেন। এআইডিএসওর তরফে স্মারকপত্র জমার আগে বিক্ষোভও প্রদর্শন করা হয়। সামাজিক মাধ্যমে একে বাঙালিবিরোধী ষড়যন্ত্র বলেই উল্লেখ করেন অনেকে। মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য রবিবার আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধির কথা বলে এ নিয়ে কিছু করা সম্ভব নয় বলে জানালেও সোমবার বিজেপি নেতৃবৃন্দ এ নিয়ে মাঠে নামেন। তাঁরা আসাম বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্য রাজীবমোহন পন্থের সঙ্গে দেখা করে অন্তত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা পদ্ধতি না রাখার আর্জি জানান। ওই দলে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি বিমলেন্দু রায়, বিধায়ক কৌশিক রায়, গোপাল রায়, চন্দন দে প্রমুখ।
শিক্ষামন্ত্রী রণোজ পেগু অবশ্য এ দিন এনটিএ-কে চিঠি পাঠিয়ে বরাকের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা বরাকে আয়োজনের অনুরোধ জানান। এখনও অবশ্য এনটিএ-র সাড়া মেলেনি।