Barak UpdatesBreaking News
অবৈধ মদের অপব্যবহার রুখতে প্রশাসনের কর্মশালাWorshop organised by district administration to stop use of illegal liquor
১ জুলাই : অবৈধ মদের অপব্যবহার সম্পর্কে জনগণকে সংবেদনশীল করা ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কাছাড়ের জেলা প্রশাসন। এই কর্মসূচিকে সফল করে তুলতে ও আসাম এক্সাইজ অ্যাক্ট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। কাছাড়ের জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরী, জেলা ও দায়রা জজ দারাক উল্লাহ, প্রধান বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মিসবাহুল হোসেন আনসারি, জেলা আইন পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব পার্থসারথি ভট্টাচার্য, এক্সাইজ সুপারিনটেনডেন্ট সুনীল সিনহা এবং বিভাগের কর্মকর্তারা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে কাছাড়ের জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরী বলেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন মানুষের আয়ু কমিয়ে দেয় ও গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে। এর ফলে চিকিৎসা বাবদ অতিরিক্ত খরচ হয়। তিনি অবৈধ মদ তৈরির জীবিকার বিকল্প উৎস প্রদান করার ওপর জোর দেন। জেলা ও দায়রা জজ ডারাক উল্লাহ ও প্রধান বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মিসবাহুল হোসেন আনসারি তাদের বক্তব্যে আসাম এক্সাইজ অ্যাক্ট, ২০০০-এর বিধান সম্পর্কে আলোচনা করেন। ২০১৮ সালে আসাম পণ্যদ্রব্য আইন, ২০০০ সালে সংশোধিত হয়ে অবৈধ মদ বিক্রয়, পরিবহণ, আমদানি ও রপ্তানি একটি প্রধান অপরাধ এবং দোষী সাব্যস্ত.হলে কমপক্ষে ৬ মাস জেল হবে বলে জানান।
আসাম এক্সাইজ অ্যাক্ট ২০১৮ সালে সংশোধনের পরে জামিন অযোগ্য অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে তাঁরা উল্লেখ করেন। সিজিএম মিসবাহুল হোসেন আনসারি জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। জেলা আইনি সেবা কর্তৃপক্ষের সচিব পার্থসারথি ভট্টাচার্য, আসাম এক্সাইজ অ্যাক্ট, ২০০০ এবং আসাম এক্সিকিউটিভ আইন, ২০১৬-এর বিস্তারিত আলোচনা করেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের এবং আইন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনও অনুষ্ঠিত হয়।