Barak UpdatesBreaking News
সাহিত্য সভায় প্রার্থী পত্নী, বরাকে প্রচারে মহন্তWife becomes candidate of Asom Sahitya Sabha, Prafulla Mahanta comes for canvassing at Silchar
৯ নভেম্বর: ড. জয়শ্রী গোস্বামী মহন্ত আসাম সাহিত্য সভার সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ তাঁর প্রচারসঙ্গী হিসেবেই বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রফুল্লকুমার মহন্ত৷ তাঁকে দুইবারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বললেই শেষ হয় না৷ অসমিয়া জাতীয়তাবাদ বলে যে তত্ত্ব আজ সর্বত্র চর্চার বিষয়, এর উদ্ভাবক মহন্তই৷ তিনিই আশির দশকের আসাম আন্দোলনের প্রধান নেতা৷
বরাক উপত্যকায় অসম সাহিত্য সভার কত ভোট, তা এখনও হিসেব কষে দেখেননি৷ তবে খুব বেশি যে নেই, তা জেনে গিয়েছেন৷ কারণ সাহিত্য সভায় ভোটার হওয়ার শর্ত বেশ কঠিন৷ প্রতি শাখার একটি করে ভোট৷ তাও আবার শাখা হলেই ভোট দেওয়ার জন্য প্রতিনিধি পাঠানো যাবে না৷ অন্তত ২৫ জন সদস্য থাকতে হবে সেই সভায়৷ সঙ্গে সদস্য চাঁদা ৫ হাজার টাকা৷ এই উপত্যকায় অসমিয়াদের সংখ্যা একেবারে নগণ্য বলে ভোটার হওয়ার শর্ত পূরণ হওয়ার মত শাখা খুবই কম৷ তবু বরাককে প্রচার থেকে দূরে রাখতে পারেননি প্রফুল্ল-জয়শ্রী৷ প্রচণ্ড কোমরের ব্যথা৷ স্লিপ ডিস্কের সমস্যা৷ এর পরও ছুটে এসেছেন ৩০০ কিমি দূরে৷ তবে ভোটের জন্য যাকে যা বলার বা ছোটখাটো সভা যা দরকার, জয়শ্রীদেবীই করছেন৷ একবারের জন্যও ভোটের কথা মুখে আনছেন না আসুর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সর্বকালের সর্বকনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী৷ বরং এই বিষয়টি এড়িয়েই চলতে চাইলেন তিনি৷ বললেন, না, বহুদিন আসা হচ্ছে না বরাকে৷ মাঝে একরাত কাটিয়ে গেলেও কারও সঙ্গে কথা বলার সুযোগ মেলেনি৷ এ বার এসেছি পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার জন্য, গল্প করার জন্য৷
কিন্তু পুরনো বন্ধুরা কি আর আছে? সন্ধ্যায় সার্কিট হাউসে গিয়ে দেখা গেল, প্রায় একাই বসে রয়েছেন৷ কথা বলছিলেন ঘনিয়ালার শাহজাহান আহমেদের সঙ্গে, অগপ রাজনীতিতে এখন আর যিনি প্রাসঙ্গিক নন৷ প্রাক্তন ছাত্রনেতা মনজুর আহমেদ একবার আসবেন বলে প্রতিনিধি পাঠিয়ে জানিয়েছেন৷ স্থানীয় অগপ নেতৃত্ব বলতে গেলে এড়িয়েই গিয়েছেন তাঁকে৷
কেন নিজের হাতে গড়া সংগঠনে তাঁর বক্তব্য গুরুত্ব পায় না? কেন শাসক জোটের বিধায়ক হয়েও তাঁকে বিরোধী ভূমিকাতেই থাকতে হয়? এত প্রশ্নের জবাব একবাক্যে, তা তাদেরই জিজ্ঞেস করুন৷
এদিন শিলচর সার্কিট হাউসে বসেও সোনোয়াল সরকারের বিরোধিতাই করে গিয়েছেন৷ খোলামেলা শুনিয়েছেন, কোথায় উন্নয়ন! নেই শিল্পবিকাশ, কর্মসংস্থান৷ জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে বাড়ছে৷ এনআরসি ইস্যুতেও সরকারের অবস্থানের বিরোধিতাই করলেন৷ তাঁর কথায়, এনআরসি ঠিক হয়নি বললে সরকারের ব্যর্থতাই প্রকাশ পায়৷ কারণ রাজ্য সরকারের অফিসার-কর্মচারীরাই যাবতীয় কাজ করেছেন৷ এ ছাড়া, সন্তুষ্ট হোন আর না হোন, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তৈরি এনআরসিকে মানতেই হবে, বলেন মহন্ত৷ তাঁর কথায়, এখন চাইলেই বিজেপি একে বাতিল করতে পারবে না৷ যা করার সুপ্রিম কোর্টের মধ্য দিয়েই করতে হবে৷
বিজেপির সঙ্গে জোটটা যে তিনি চান না, এ দিন ফের শুনিয়ে দেন৷ তবে কি ২১-র ভোটে জোট থাকছে না? অসহায়ের মত বললেন, সিদ্ধান্ত তো এরা নেবেন৷