Barak UpdatesBreaking News
দুর্বল উপাচার্য, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে যাবেন না কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাWeak Vice Chancellor, College-University teachers decided to boycott Academic Council Meeting
২৬ সেপ্টেম্বরঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক চলাকালে সদস্যদের পণবন্দি করে রাখে ছাত্ররা। শিক্ষকদের উদ্দেশে কটুক্তি ছুঁড়ে আদায় করে নেয় নিজেদের দাবি-দাওয়া। সবাইকে দরজা বন্ধ করে আটকে রেখে বৈঠকেই উপাচার্যকে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে, শিক্ষকরা খাতা দেখার পর প্রথমে ছাত্রদের দেওয়া হবে। তারা পরীক্ষা করে দেখবে, ঠিকঠাক নম্বর দেওয়া হয়েছে কিনা, এর পরই ওই নম্বর চূড়ান্ত হবে, মার্কশিটে তোলা হবে। এ ছাড়া যত খুশি ব্যাক পেপার থাক, পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে। অবিশ্বাস্য ঠেকলেও এমনটাই ঘটেছে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।
গত ২৩ জুলাই অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সর্বশেষ বৈঠকের শেষপ্রান্তে স্কুল অব টেকনোলজির একদল ছাত্র তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে চায়। উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকরা তাদের কথা শুনতে রাজি হয়ে যান। এর পরই প্রায় পণবন্দি করে উপাচার্যের কাছ থেকে উপরের বয়ান লিখিয়ে নেয়। আরও আশ্চর্যের কথা, তারা শুধু স্কুল অব টেকনোলজির ছাত্রদের জন্য এইসব দাবি করলেও উপাচার্য তা গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।
ওই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত কার্যকর জন্য আগামী শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর আরেক সভা ডাকা হয়েছে। এর মধ্যে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে আসাম ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (আউটা)। তাঁরা উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে ২৩ জুলাইর বৈঠককে বাতিল ঘোষণার দাবি জানান। কারণ এই ধরনের বৈঠকে বাইরে থেকে কেউ গিয়ে দাবি-দাওয়া জানাতে পারেন না। কাউন্সিলে দুইজন ছাত্র প্রতিনিধি রয়েছে। যা বলার তাদের মাধ্যমেই বলার কথা। প্রতিনিধিরা নিয়ম মেনে বৈঠকে প্রসঙ্গটি তুলেও ছিলেন। কিন্তু পরে যা ঘটল, তা মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু উপাচার্য কোনও পদক্ষেপ নেননি।
পরে এ নিয়ে টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যবাহী সমিতির সভা হয়, সাধারণ পরিষদের সভায়ও মিলিত হন তাঁরা। সর্বত্র উপাচার্যের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করা হয়। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, শুক্রবারের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কেউ যাবেন না। আউটা-র পক্ষ থেকে আসাম কলেজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের আঞ্চলিক ইউনিটগুলিকেও চিঠি পাঠিয়ে তাদের পাশে থাকা অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কলেজ শিক্ষকরাও এ ব্যাপারে তাদের সায় জানিয়ে দেন। যে সব কলেজ শিক্ষক অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, তাঁদের শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিত না হতে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবারের বৈঠক বাতিল হওয়ারই কথা। কারণ অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের অধিকাংশ সদস্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,শুধু শুক্রবারের বৈঠকই বয়কট করছেন না, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের কোনও বৈঠকে তাঁরা যাবেন না।