Barak UpdatesBreaking News
পরিমল-দিলীপে ঠোকাঠুকি!War of Words between Parimal & Dilip!
৫ জুনঃ ক্ষমতায় আসার পর কাছাড় বিজেপি-তে সম্পর্কের রসায়নে নিয়মিত বদল ঘটছে। কে কখন কার প্রিয়পাত্র, বোঝা মুশকিল। বুধবার পরিবেশ ও বনবিভাগের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে যেমন শিলচরের বিধায়ক দিলীপকুমার পালকে দেখা গেল, বিভাগীয় মন্ত্রীকে বেশ ঠুকে দিয়েছেন। মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যও তাঁর বক্তৃতায় দিলীপবাবুর অভিযোগেরই জবাব দিয়েছেন।
প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার দিলীপবাবু পরিবেশ দিবসের তাতপর্য উল্লেখ করে নিজের বক্তৃতা শুরু করেন। পরে বলেন, পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠান করব, প্রকৃতির পূজা করব আর নদীর পাথর টেনে বের করে আনব। তাহলে সঙ্কট তো বাড়বেই। পাথর সিন্ডিকেট নিয়ে দিলীপবাবু অনেকদিন ধরেই সক্রিয় রয়েছেন। তাঁর ঝাঁঝালো মন্তব্যগুলো যে বিভাগীয় মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যকে উদ্দেশ্য করে, তা বোঝার বাকি থাকেনি। তাই পরে বক্তৃতা করতে গিয়ে পরিমলবাবু নদী থেকে পাথর তোলার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেন।
তিনি বলেন, রাস্তাঘাটের জন্য পাথর লাগে। উন্নয়নমূলক নানা কাজে পাথর লাগে। ফলে নদী থেকে পাথর তুলতে হবেই। যেমন সভ্যতার প্রয়োজনেই গাছ কাটতে হবে। মানুষের দায়িত্ব হল, সেইসব ক্ষতিপূরণ। গাছ লাগাতে হবে, পরিবেশ সুরক্ষায় লক্ষ্য রাখতে হবে।
এ দিকে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ দর্শকাসনেই বসা ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে উঠেই কবীন্দ্রবাবুকে দেখে ফেলেন। ঘোষককে নির্দেশ দেন, কবীন্দ্রবাবুকে মঞ্চে আমন্ত্রণের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ও নবনির্বাচিত সাংসদ ডা. রাজদীপ রায়ের মাঝে বসানো হল তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রীর ফেরার তাড়ার জন্য পরিমল শুক্লবৈদ্য, রাজদীপ রায় এবং দিলীপকুমার পাল ছাড়া কেউ বক্তৃতার সুযোোগ পাননি। কিন্তু মাইক্রোফোনে ডেকে নেওয়া হয় কবীন্দ্রবাবুকে।
অরাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের মধ্যে স্বাগত ভাষণ দেন বনবিভাগের প্রধান মুখ্য বন সংরক্ষক এএম সিংহ এবং আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক পার্থঙ্কর চৌধুরী। পার্থঙ্করবাবু বলেন, বর্জ্য নিষ্কাশনের স্পষ্ট বিধি থাকলেও শিলচরে তা মানা হয় না। বিধিতে রয়েছে, খোলা গাড়িতে বর্জ্য বহন করা নীতিবিরুদ্ধ। কিন্তু শিলচরে স্কুল-কলেজে যাওয়ার সময়ে বর্জ্য পদার্থ নিয়ে পুরসভার খোলা গাড়ি রাস্তা ধরে এগিয়ে চলে। শুধু মুখে বলা নয়, তিনি স্লাইডের সাহায্যে পর্দায় সেই দৃশ্যও তুলে ধরেন। দর্শকাসনের প্রথম সারিতে তখন পুরপ্রধান নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর এবং উপ-প্রধান চামেলী পাল।
এর আগে শিলচরে এসে বিগ বাজারের সামনে আবর্জনা দেখে ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। প্রকাশ্য সভায় নীহারবাবুকে ডেকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। এ দিন অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী আবর্জনাবাহী খোলা গাড়ি নিয়ে মন্তব্যে যাননি।