NE UpdatesAnalytics
বটদ্রবা কাণ্ডের পরোক্ষে আলকায়দার শাখা, ইঙ্গিত ডিজিপি মহন্তের
২৩ মে : পুলিশি হেফাজতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর একাংশ উন্মত্ত জনতার বটদ্রবা থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনার পর নিন্দায় সরব রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহল। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ২১ জনকে আটক করেছে। নিন্দা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি বলেন, বটদ্রবা কাণ্ড প্রমাণ করেছে রাজ্যের অবস্থা কতটা ভয়াবহ ও বিপজ্জনক। তিনি বলেন, আসামের মানুষ কী ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে বাস করছেন, তা আঙুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছে বটদ্রবা কাণ্ড। তাঁর কথায়, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজ্য পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্তারাও বটদ্রবা থানা চত্বর পরিদর্শন করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। প্রথমে বটদ্রবা ঘুরে বিস্তারিত রিপোর্ট সংগ্রহ করেছেন রাজ্য পুলিশের বিশেষ ডিজিপি জিপি সিং। এরপর এলাকা ঘুরে দেখেন রাজ্যের পুলিশ প্রধান ভাস্করজ্যোতি মহন্ত। এ দিকে, থানার অগ্নিকাণ্ডের পর পরই পুলিশ ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হওয়া অপরাধীদের বাড়িঘর গুড়িয়ে দেয়। এরা অবৈধভাবে জমি দখল করে ঘরবাড়ি বানিয়েছিল বলে পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে আগেই খব ছিল।
তাদের নিশ্চিত ধারণা, এই ঘটনার সঙ্গে বাইরের শক্তি জড়িত রয়েছে। ডিজিপি মহন্ত বলেন, পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। আমি এ ঘটনায় জেহাদি শব্দ ব্যবহার করব না। কিন্তু আনসারুল ইসলামের একটি গ্রুপ ধরা পড়েছে। এই গ্রুপটি আল কায়দার একটি শাখা। তাদের গতিবিধি গোপনে নজর রাখছে পুলিশ। এই সংগঠনটি সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করে একটি স্লিপার সেল তৈরি করার প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা নগাওয়ে এ ধরনের কাণ্ড সংঘটিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বটদ্রবা কাণ্ড এর স্পষ্ট উদাহরণ।
তিনি আরও বলেন, কেউ একজন পেট্রোল নিয়ে এসেছিল। পেট্রোল বোমা নিয়ে এসেছিল কি না পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। উত্তেজিত জনতার মধ্যে আলাউদ্দিন নামের এক ড্রাগস মাফিয়াকেও দেখা গেছে। থানার নথিপত্র নষ্ট করা ছিল একটি পরিকল্পিত ঘটনা। এই সংগঠন মুসলিমদের উত্তেজিত করে এই বিশেষ কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেন ডিজিপি।