AnalyticsBreaking News
নাগরিকত্ব/৭ঃ নয়বার সংশোধন হয়েছে নাগরিকত্ব আইনThe Citizenship Bill was amended 9 times
(যৌথ সংসদীয় কমিটির অনুমোদন লাভের পর নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল ২০১৬ গত ৭ জানুয়ারি লোকসভায় পেশ হয়। ধ্বনিভোটে পাশও হয়ে গিয়েছে এটি। এ বার রাজ্যসভায় ওঠার কথা ছিল। শেষপর্যন্ত তা আনাই হয়নি। তবে সংসদে সুযোগ না থাকলেও বাইরে এ নিয়ে বিতর্ক চলতে থাকবে। এই প্রেক্ষিতে যৌথ সংসদীয় কমিটি যে ৪৪০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট দিয়েছে, ওয়েটুবরাক পুরো রিপোর্ট ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে চলেছে। আজ এর সপ্তম কিস্তি।)
১৭ ফেব্রুয়ারিঃ সংবিধান যখন গৃহীত হল, সেই সময়ে তাতে যেহেতু নাগরিকত্ব প্রদান, বাতিল বা নাগরিকত্ব সম্পর্কে কোনও কথাই উল্লেখ করা হয়নি, তাই এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়ে। ১৯৫৫ সালের ৫ আগস্ট লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল আনা হয়। সংবিধান গৃহীত হওয়ার পরে জন্মসূত্র, বংশপরম্পরা, রেজিস্ট্রেশন, আবেদন এবং কোনও অঞ্চলের ভারতভুক্তির মাধ্যমে নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয় ওই বিলে। বিশেষ পরিস্থিতিতে নাগরিকত্ব খারিজ এবং নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করারও বিধান রাখা হয় তাতে।
সংসদের দুই কক্ষে অনুমোদিত হওয়ার পরে ১৯৫৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি সেই বিলে স্বাক্ষর করেন। সেটিই ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন। ১৯৫৫ সালের ৩০ রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাভের পরমুহূর্ত থেকেই তা কার্যকর হয়। পরে এই আইনে নয়বার সংশোধনী আনা হয়। ১. ১৯৫৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ১৯৫৭।
২. ১৯৬০ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ১৯৬০।
৩. ১৯৮৫ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ১৯৮৫।
৪. ১৯৮৬ সালের ১৫ মে থেকে কার্যকর হয় ডেলিগেটেড লেজিসলেসন প্রভিসনস অ্যামেন্ডমন্ট অ্যাক্ট, ১৯৮৫।
৫. ১৯৮৭ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ১৯৮৬।
৬. ১৯৯৯২ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ১৯৯২।
৭. ২০০৪ সালের ৩ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০০৩।
৮. ২০০৫ সালের ২৮ জুন থেকে কার্যকর হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০০৫।
এবং ৯. ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৫।
২০০৩ এবং ২০০৫ সালের সংশোধনী দুটো ২০১৫ সালের রিপিলিং অ্যান্ড অ্যামেন্ডিং (সেকেন্ড) অ্যাক্টের মাধ্যমে বাতিল করা হয়। এই বাতিলকরণ নাগরিকত্বের বৈধতা বা অবৈধতায় প্রভাব ফেলবে না। এরই মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে, তাকেও প্রভাবিত করবে না। কোনও অধিকার, দায়দায়িত্ব বা সুযোগ এরই মধ্যে পেয়ে গেলে নতুন আইন তাতে প্রভাব ফেলবে না। কোনও সিদ্ধান্ত, ঋণ, অর্থদণ্ড, দায়বদ্ধতা বা দাবি মঞ্জুর হলে গেলেও এই আইন তাতে বাধা হবে না।
১.১১ তাহলে দেখা গেল, ২০১৫ সালের রিপিলিং অ্যান্ড অ্যামেন্ডিং (সেকেন্ড) অ্যাক্টের ২ নং ধারার প্রথম অনুচ্ছেদের মাধ্যমে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০০৩ এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০০৫ বাতিল করা হয়। ২০১৫ সালের ১৪ মে থেকে তা কার্যকর হয়।