Barak UpdatesBreaking News

সুখেন্দুকে মারতে গুলি চালিয়েছিল ধৃতদেরই একজন
Sukhendu was shot dead by one of the arrested

২১ মার্চঃ কোনও নির্বাচনী সভা নয়। সালিশী বৈঠকও নয়। মঙ্গলবার সুখেন্দু দাস ওরফে সেবুলবাবু গিয়েছিলেন নিজামউদ্দিন আয়োজিত পার্টিতে। দুইজন চরম বিরোধী দুই রাজনৈতিক দলের নেতা হলেও ব্যবসায়িক কারণে প্রায়ই একসঙ্গে বসতেন তাঁরা। মঙ্গলবার পার্টি ছিল মূলত ইলেকট্রিসিয়ান মন্টু চক্রবর্তীর বাড়িতে। মাংস রান্না সেখানেই হয়।

আচমকা নিজাম বলেন, ঝাপিরবন্দের একচালা ঘরে বসবেন সবাই। রান্না করা মাংস নিয়েই হাতিছড়া থেকে তারা পৌঁছান ঝাপিরবন্দে। পথে সুখেন্দুবাবুকে ফোন করেন নিজামউদ্দিন। অন্য দিনের মত ফোন পেয়েই চলে যান সুখেন্দুবাবু। সঙ্গে সর্বক্ষণের সঙ্গী রিংকু সেনাপতি। নিজাম, মণ্টু ছাড়াও ওই ঘরে ছিলেন দারাসিং রাজবংশী, মুজিবুর রহমান লস্কর ওরফে মজাই ও আফতাবউদ্দিন ওরফে বগা। সবাই মিলে পার্টি হয়। পরে বাড়ি ফেরার  উদ্দেশে ঘর থেকে বের হতেই গুলিবিদ্ধ হন পঞ্চায়েত প্রধান সুখেন্দু দাস। ঘটনাস্থলে নিহত হন তিনি। জখম হয়ে মেডিক্যালে চিকিতসাধীন রিংকু।

পুলিশ তদন্তে নেমে মঙ্গলবারই নিজামউদ্দিনকে আটক করে। একে একে তুলে আনে পার্টিতে থাকা বাকি চারজনকেও। প্রাথমিক তদন্ত এবং আটক ৫জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ মঙ্গলবারের গুলি-পূর্ব ঘটনা সম্পর্কে এইসব জানতে পারে। তা থেকে তারা নিশ্চিত, গুলি চালিয়েছে পার্টিতে থাকা ৫জনেরই কেউ। তাই তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়। ঠিক কে গুলিটি চালিয়েছিল, সেই পিস্তল বা বন্দুকটি এখন কোথায়, ওইসব বের করতে পুলিশ তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। আদালত তাদের ৫দিনের জন্য পুলিশের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

English text here

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker