Barak UpdatesBreaking News
মহিলা কলেজের গেট বন্ধ করে বর্ধিত ফি কমানোর দাবি, দু’ঘণ্টা ঘেরাও অধ্যক্ষStudents locked the gate of Women’s College demanding lowering of fees, Principal gheraoed for 2 hours
২৩ জুলাই : কলেজে ভর্তি ফি বাড়ানোয় প্রতিবাদী ছাত্রীদের ঘেরাটোপে প্রায় দু’ ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হল অধ্যক্ষকে। শেষমেশ ম্যাজিস্ট্রেট এসে মধ্যস্থতা করার পরই ঘেরাওমুক্ত হলেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে এভাবে পড়ুয়াদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠেছিল শিলচর মহিলা কলেজ।
এ দিন সকাল সাড়ে ন’টা থেকে আন্দোলন শুরু করে ফি মুকুব দাবি ছাত্র সংগ্রাম কমিটি। শহরের শিলংপট্টিতে কলেজের গেট বন্ধ করে দিয়ে ছাত্রীরা প্রতিবাদ জানাতে থাকে। তাদের দাবি ছিল, কলেজের বর্ধিত ভর্তি ফি প্রত্যাহার করতে হবে। তাদের আন্দোলন চলার সময়ই সাড়ে ১১টা নাগাদ কলেজে আসেন অধ্যক্ষ ড. মনোজ কুমার পাল। তিনি আসতেই তাঁকে ঘিরে ধরে ছাত্রীরা। অধ্যক্ষের কাছে তারা দাবি জানাতে থাকে যে, বর্ধিত ফি কমানোর কথা এই মুহূর্তে ঘোষণা করতে হবে। অধ্যক্ষ ছাত্রীদের জানান, তাঁর একার পক্ষে এই ফি কমানো সম্ভব নয়। তিনি এ ব্যাপারে ভর্তি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু তা না মেনে বার বার ছাত্রীরা একই দাবি জানাতে থাকে। সে সময় মহিলা পুলিশ ছাত্রীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও বিফল হয়।
এ দিকে, এই আন্দোলনের খবর পেয়ে বেলা সোয়া একটা নাগাদ সিআরপিএফ বাহিনী নিয়ে ছুটে আসেন ম্যাজিস্ট্রেট। প্রথমে তিনিও বাধাপ্রাপ্ত হন। পরে তিনি বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে আলাপ করেন। অধ্যক্ষ অবশ্য তখনও একই কথা বলেছেন। পরে তিনি জানান, ভর্তি কমিটির সঙ্গে আলোচনা কপ্রে আগামী দু’দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেবেন। এরপরই ছাত্রীরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ায়।
অন্যদিকে, মহিলা কলেজের ছাত্রীরা সোমবার কলেজ অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে ভর্তি ফি গতবারের চেয়ে বারোশো টাকা বেশি বৃদ্ধি করায় তা প্রত্যাহার করার দাবি জানায়। অধ্যক্ষ তখন জানান, এই ফি রাজ্য সরকার বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু ছাত্রীরা অধ্যক্ষকে বলে যে, রাজ্য সরকার যে ফি নির্ধারণ করে গত ৪ জুন সার্কুলার জারি করেছে, তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, কলেজের অধিকার রয়েছে এই ফির চেয়ে কম ফি নির্ধারণ করার। ছাত্রীরা আরও বলেছে, এ বছর যেহেতু ফি মুকুবের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার প্রত্যাহার করেছে, তাই এ বছর এই ফি বৃদ্ধি অত্যন্ত অমানবিক। এরপরই ছাত্রীরা মঙ্গলবার কলেজ গেট বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলন শুরু করে।