Barak UpdatesBreaking News
মহিলা ও জিসি কলেজে ছাত্র বিক্ষোভ, ৭ দিন পিছোল ভর্তি প্রক্রিয়াStudents’ demonstration at G.C. & Women’s College, admission procedure deferred by 7 days
১২ জুলাই : কাছাড় কলেজে লাগাতার ছাত্র আন্দোলনের পর এ বার প্রতিবাদ আছড়ে পড়ল শিলচর মহিলা কলেজে। শুক্রবার ছাত্রীরা কলেজের গেট বন্ধ করে স্নাতক তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। ছাত্রীরা এ দিন কলেজ গেটে অধ্যক্ষের গাড়িও আটকে দেয়। পরে অধ্যক্ষ ছাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে ভর্তি প্রক্রিয়া ৭ দিন বন্ধ রাখতে সম্মতি প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, ফি মকুব দাবি ছাত্র সংগ্রাম কমিটি’র পক্ষ থেকে ‘ব্যাক’ পাওয়া গরিব ছাত্রদের ফি মকুবের সিদ্ধান্ত আসাম সরকার প্রত্যাহার করার প্রতিবাদে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তাতে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। মহিলা কলেজের ছাত্রীরা সকাল ১০টা নাগাদ গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ কলেজের অধ্যক্ষ মনোজ পাল আন্দোলন স্থলে এলে তাঁকে ছাত্রীরা দাবি জানায়, যেহেতু ফি মকুবের দাবিতে আন্দোলন চলছে তাই আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে হবে। ছাত্রীরা অধ্যক্ষের হাতে একটি স্মারকলিপিও তুলে দেয়।
অধ্যক্ষ মনোজ পাল ছাত্রীদের দাবি মেনে মহিলা কলেজের স্নাতক স্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া সাত দিনের জন্য পিছিয়ে দেন। ফি মকুব দাবি ছাত্র সংগ্রাম কমিটি অধ্যক্ষের এই দাবি মেনে নেওয়ায় স্বাগত জানায়। এদিকে গুরুচরণ কলেজেও আজ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেখানেও ‘ফি মকুব দাবি ছাত্র সংগ্রাম কমিটি’ সদস্যরা দাবি জানায়, ভর্তি প্রক্রিয়া অন্যান্য কলেজের মতো পিছিয়ে দিতে। পরবর্তীতে গুরুচরণ কলেজ কর্তৃপক্ষ সংগ্রাম কমিটির দাবি মেনে সেই কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া আগামী ১৮ জুলাই পর্যন্ত পিছিয়ে দেন।
ছাত্ররা আসাম সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর একরোখা মনোভাবের তীব্র নিন্দা জানায়। তাদের অভিযোগ, গরিব ঘরের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে যেখানে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের জোর করে শিক্ষাঙ্গন থেকে সরে যেতে বাধ্য করছেন। মন্ত্রীর এই আচরণ ছাত্রছাত্রীদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে বলে তারা উল্লেখ করে।
আসাম বিশ্ববিদ্যালয় যে রি-ইভালিউশন ফীস বাড়িয়েছে, সেটার জন্য কে দায়ী?