Barak UpdatesBreaking News
শ্রীজাত পর্বঃ মীমাংসা হয়ে গিয়েছে, বলল পুলিশSrijato episode: Matter settled, claims police
রাকেশবাবু এমন লম্বাচওড়া দাবি করলেও শ্রীজাত কতটা নিরাপদ ছিলেন, সে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। কারণ তাঁর এত সকালে শিলচর ছাড়ার কথা ছিল না। টিকিট ছিল দুপুরের বিমানের। সকালে শহরের কবি-সাহিত্যিকদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা দেবেন, এমনই ছিল পরিকল্পনা। আয়োজকরা সে ঝুঁকি নিতে পারলেন না। টিকিট বদলে সকালের বিমানেই তুলে দেন তাঁকে।
কবির অনুষ্ঠানে বিক্ষোভ নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন শিলচর শহরের প্রচুর মানুষ। সাহিত্যিকদের বড় অংশই একে শিলচরের লজ্জা বলে উল্লেখ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ঝড় বইছে। সেখানে হিন্দুত্ববাদীদের সমালোচনার সঙ্গে একাংশ আবার শ্রীজাতের সেই ত্রিশূল নিয়ে লেখা কবিতারও সমালোচনা করছেন। শনিবারের বিক্ষোভের মূল জায়গা অবশ্য ওই কবিতাই।
আসলে দুই বছর আগে লেখা কবি শ্রীজাতের একটি কবিতা নিয়ে বিক্ষোভ চলছিল। আচমকা পাথরের টুকরোয় হোটেলের সামনের দিকের কাঁচ ঝরে পড়লে তৃণমূল কংগ্রেসকে দোষারোপ শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ ওঠে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দালালদের দিয়ে এই অনুষ্ঠান করিয়েছেন। শ্রীজাতকে পাঠিয়েছেন।
আর বাইরে যখন এমন অভিযোগ, অনুষ্ঠানের মঞ্চে তখন কবির বামপাশে বসা প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক দীপক ভট্টাচার্য। ডানদিকে কংগ্রেস নেতা, অবসরপ্রাপ্ত কলেজশিক্ষক বিভাসরঞ্জন চৌধুরী। শ্রীজাতের কাছে কৈফিয়ত তলবে যাঁরা আপত্তি করেছেন, তাঁদের অধিকাংশ শহরের পরিচিত বামপন্থী কর্মী। যাঁর কথায় বিক্ষোভকারীরা আহত হয়েছেন বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন, তিনি সিট্যুর জেলা সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য। গত বিধানসভা নির্বাচনে শিলচর আসনে সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন। আর বিক্ষোভের মধ্যেও যিনি অশীতিপর দীপকবাবুকে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন তিনি শিলচরের প্রাক্তন পুরপ্রধান, কংগ্রেস নেতা তমাল বণিক। তৃণমূল কংগ্রেস কোথায়! বজরঙ দলের কথায়, ওইসব এখনই বোঝা যাবে না। অধিকাংশ তৃণমূল কংগ্রেসের দালাল।
পড়ুন: শ্রীজাত’র অনুষ্ঠান ঘিরে উত্তেজনা শিলচরে
শুনে হাসলেন নতুন সংস্থা ‘এসো বলি’-র মূল সংগঠক সব্যসাচী রুদ্রগুপ্তও। বললেন, একসময় এনএসইউআই, যুব কংগ্রেসে নেতৃত্ব দিয়েছি। এখন সক্রিয় নই। কিন্তু কংগ্রেসি বলেই গর্ববোধ করি। বামনেতা সুপ্রিয় ভট্টাচার্যের কথায়, নিজেদের অসভ্যতাকে ঢাকতেই তারা তৃণমূল কংগ্রেসের নাম নিয়েছে।