Barak UpdatesAnalyticsBreaking News
মাস্ক তৈরি করে করোনা যুদ্ধে সামিল আত্মসহায়ক গোষ্ঠীর মহিলারাSHGs involve in fight against corona by making masks
১২ এপ্রিল : দেশে এই করোনা সংকটের মুহূর্তে যে যার মতো করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। পাশে রয়েছেন আমজনতার। শক্তি ও ভরসার জোগান দিয়ে যাচ্ছেন সরকারকে। এক্ষেত্রে বড়সড় ভূমিকা নিয়েছেন ডিএওয়াই-এনআরএলএম’র আত্মসহায়ক গোষ্ঠীর মহিলারাও। নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা।
এ কথা স্বীকার করে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক বলেছে, করোনা ভাইরাসের মারণ থাবায় গোটা বিশ্ব আজ ত্রস্ত। ভারতেও এক সামাজিক জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জারি হয়েছে নানা নীতি-নির্দেশিকা। লকডাউনের ফলে স্বাস্থ্য, আইন-শৃঙ্খলা, সাফাই, সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বহু পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের জন্য মাস্ক, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ও ফেস শিল্ডের চাহিদা বাড়ছে। সরকারও মাস্ক ব্যবহার করার জন্য নাগরিকদের পরামর্শ দিচ্ছে।
আর এখানেই দেশ ও সমাজের প্রতি নিজেদের দায়-দায়িত্ব পালন করছেন সেলফ-হেল্প গ্রুপের মহিলারা। সারা দেশে দীনদয়াল অন্তোদয় যোজনার জাতীয় গ্রাম জীবিকা মিশনের অন্তর্গত ৬৩ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। এর সঙ্গে ৬ কোটি ৯০ লক্ষ মহিলা যুক্ত আছেন। কোভিড–১৯ এর মোকাবিলায় যাঁরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে কাজ করছেন, তাঁদের জন্য মাস্ক তৈরি করছে এসব গোষ্ঠী। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সার্জিক্যাল মাস্ক ও কাপড়ের মাস্ক স্বাস্থ্য দপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ সহ সাধারণ নাগরিকদের জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে। ৮ এপ্রিলের মধ্যে ২৭টি রাজ্যের গ্রাম জীবিকা মিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী মোট ১ কোটি ৯৬ লক্ষ মাস্ক তৈরি করা হয়েছে। বিক্রি করা হচ্ছে মাত্র ১০ টাকা করে।
আত্মসহায়ক গোষ্ঠীর মহিলারা অ্যাপ্রন, গাউন, ফেস শিল্ডের মতো প্রায় ৫ হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী তৈরি করেছেন। এছাড়া, ৯টি রাজ্যের ৯০০ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মহিলারা তৈরি করেছেন ১ লক্ষ ১৫ হাজার লিটার স্যানিটাইজার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা মেনেই এটি বানানো হয়েছে।অ্যালকোহল, পাতিত জল, গ্লিসারিন ও বাসিল, লেমনগ্রাস ইত্যাদির মিশ্রণ রয়েছে স্যানিতে। ১০০ মিলিলিটার এই স্যানিটাইজারের দাম ৩০ টাকা। তাই সাধারণ মানুষ সহজেই এগুলি ব্যবহার করতে পারবেন। এভাবেই করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা দায়বদ্ধতার নজির সৃষ্টি করছেন।