Barak UpdatesBreaking News
রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় চেয়ে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এসএফআই-র ধরনাSFI demands for state university & demonstrates in front of central university
১৮ সেপ্টেম্বরঃ দীর্ঘদিন পরে ছাত্র জমিয়ে আন্দোলন করল এসএফআই। তিন জেলার বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে তারা জমায়েত হয় আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। ধরনা দেয়, বিক্ষোভ দেখায়। কথা বলে উপাচার্যের সঙ্গে। আওয়াজ তোলে বরাক উপত্যকায় একটি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। তাদের দাবিদাওয়ার মধ্যে রয়েছে, তিন জেলায় তিনটি কলেজে বিএড কোর্স চালু করা, সিবিসিএস ব্যবস্থার ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করে সেগুলি দ্রুত দূর করা, ৪৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষার ফলপ্রকাশ, ষষ্ঠ সেমিস্টারের ফলাফল ১৫ জুলাইর মধ্যে প্রকাশ, রি-চেক বা রি-ইভ্যালুয়েশনের ফল সময়মত প্রদান, মহাবিদ্যালয়গুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ ইত্যাদি।
বিক্ষোভস্থলে প্রথমে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সুপ্রবীর দত্তরায় আসেন। কিন্তু তিনি তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছিলেন না। ক্ষিপ্ত হয়ে তারা গেট পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়ে। পরে উপাচার্য দিলীপচন্দ্র নাথের সঙ্গে তাদের কথা হয়। তিনি ৪৫ দিনের মধ্যে ফলপ্রকাশের কথা দেন। সঙ্গে জানান, সিবিসিএস ব্যবস্থা পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। তাতে এসএফআই-র দুইজন প্রতিনিধিকে রাখা হবে। পুজোর পরে ২০ নভেম্বরের মধ্যে এই সব বিষয় নিয়ে এসএফআইর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরেকবার বসবে বলে উপাচার্য কথা দেন।
এসএফআই নেতা ঋতুরাজ গোস্বামী জানান, ফলপ্রকাশে বিলম্বের জন্য এই অঞ্চলের ছাত্রছাত্রীরা অন্যত্র ভর্তির সুযোগ পায় না। গত বছর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হয়েছে ১৪ আগস্ট। ততদিনে সব জায়গায় আবেদনের মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। স্নাতক পর্যায়ে সিবিসিএস পদ্ধতি চালু করলেও উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে ছাত্ররা সমস্যার সম্মুখীন। এই ব্যবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের পছন্দ অনুযায়ী বিষয় বাছাইয়ের কথা। কিন্তু এখানকার কলেজগুলিতে হয়নি। বহু কলেজে ইতিহাস, সমাজতত্ত্বের মত বিষয় পড়ানোই হয় না। চালু হয়নি স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স। প্রতি ২৫ ছাত্রের জন্য একজন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও এই অনুপাত মোটেও মানা হয় না। প্রতি সেমিস্টারে অন্তত ৯০ দিন ক্লাশ হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু কোনও কলেজে ৫০দিনের বেশি ক্লাশ হয় না।
গোস্বামীর অভিযোগ, গত ১৭ জুন অসমের ৬৯টি কলেজে বিএড কোর্স করানোর সার্কুলার জারি হয়েছে। কিন্তু এতগুলো কলেজের মধ্যে বরাক উপত্যকার একটিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাই তাদের দাবি, তিন জেলার তিনটি কলেজে বিএড কোর্স করানো হোক।
এমন আন্দোলনের জন্য আজকের দিনটি বেছে নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ এ দিন বিশ্বকর্মা পূজা বলে ছাত্রছাত্রীদের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়নি। রেস্ট্রেকটেড হোলি ডে বলে শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীদেরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন না।