Barak Updates
গবেষক সংস্থার অনশন শুরু, স্তব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়Research Scholars on hunger strike, normal functioning of Assam University paralysed
৮ মার্চ : আগেই তাঁরা জানিয়ে রেখেছিলেন। শুক্রবার সকাল থেকে ঘোষণা অনুযায়ী অনশন শুরু করলেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয় গবেষকরা। গবেষক সংস্থা এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটে অনশনে বসেছেন। তাঁদের আন্দোলনে দুইদিন ধরে অচল আসাম বিশ্ববিদ্যালয়। মূল গেট বন্ধ করে বসে থাকায় কর্তৃপক্ষ বা শিক্ষক-ছাত্র কারও পক্ষে ভেতরে ঢোকা সম্ভব হয়নি। বন্ধ পঠনপাঠন। হচ্ছে না কোনও কাজকর্ম।
গবেষক সংস্থার সভাপতি মিলন দাস জানিয়েছিলেন, ১০০ শতাংশ দাবি না মিটলে তারা জোরদার আন্দোলন শুরু করবেন। সেই মতোই এই অনশন কর্মসূচি। শুক্রবার তিনি জানান, গত দু’দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে সেমিনার ইত্যাদি আয়োজন করার সুযোগ তাঁরা দিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার পঠনপাঠন ছাড়াও অন্য কাজকর্ম তাঁরা বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে এ দিন গবেষক সংস্থার আন্দোলনে একেবারেই অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
২০১৭ সাল থেকে গবেষকদের ফেলোশিপের অর্থ মিলছে না। দুই মাস পেরিয়ে গেলেও ২০১৯ সালের ফেলোশিপের আবেদন চায়নি এখনও। দ্রুত পুরনো অর্থ মেটানো এবং এই বছরের বিজ্ঞপ্তি জারির দাবিতে মঙ্গলবার আন্দোলনে নামেন তাঁরা। প্রথমদিন তাঁরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে ধরনায় বসেন। বুধবার থেকে গেট আটকে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন রেজিস্ট্রার সঞ্জীব ভট্টাচার্য। বকেয়া মেটানোর আশ্বাস দিলেও নতুন বিজ্ঞপ্তি জারির ব্যাপারে সময় চান তিনি।
একইভাবে ব্যাচেলর অব ভোকেশনাল কোর্সেস বিভাগের টাকাকড়ির তদন্ত সহ আরও কিছু দাবি নিয়ে কর্তৃপক্ষ এখনই সিদ্ধান্তে যাচ্ছেন না। তাদের অভিযোগ, কলেজ ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের ডিরেক্টর দেবাশিস করের যোগসাজসে ভোকেশনাল কোর্সের প্রচুর টাকার নয়ছয় হয়েছে। এর তদন্ত দাবি করেন তাঁরা। একইসঙ্গে বিভাগটি বন্ধ করে দেওয়ার যে পরিকল্পনা রয়েছে, তা প্রত্যাহারেরও আর্জি জানান গবেষকরা। এ দিকে, উপাচার্য দিলীপচন্দ্র নাথ এই সময়ে জাপানে রয়েছেন। তিনি শুক্রবার দেশে ফিরবেন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার কথা। এর মধ্যে কিছু হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এ দিকে, আগামী ১৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হওয়ার কথা। কিন্তু আন্দোলনের দরুন প্রশাসনিক কাজকর্ম বন্ধ। ফলে সমাবর্তন উতসব নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।