Barak UpdatesBreaking News
ডি মুক্ত হয়েও ভোট দিতে পারলেন না বিশ্বজিতRelieved of ‘D’ tag, but failed to cast his vote
১৯ এপ্রিলঃ এ বার পরিবেশটা বদলাবে, আশায় ছিলেন শিলচর সুভাষনগরের বিশ্বজিত দেব।
২০০১ সাল থেকে ভোটের দিনে প্রচণ্ড যন্ত্রণা বোধ করেন তিনি। সে বারই মা-বাবা-ভাই-বোন মিলে ভোট দিতে গিয়ে শোনেন, তাদের বাংলাদেশি বলে সন্দেহ করা হয়েছে। সন্দেহমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আর ভোট দিতে পারবেন না তাঁরা। সে থেকে ট্রাইব্যুনালে ঘোরেন দিনের পর দিন। গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালের সদস্য দুলাল সাহা রায় দেন, ১৯৬৬ সালের ভোটার তালিকায় বিশ্বজিত দেবের বাবা রঞ্জিতকুমার দেবের নাম রয়েছে। ১৯৭০ সালের ভোটার তালিকায় আছে মা-বাবা দুইজনেরই নাম। এ ছাড়া, রঞ্জিতবাবু ১৯৬০ সালের ৫ মে ডাকবিভাগের চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৯২ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর পেনসন বইতে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি ১৯৩৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি কাছাড়েই জন্মগ্রহণ করেছেন। এই সমস্ত নথিতে প্রমাণ মেলে, বিশ্বজিত দেব-রা বিদেশি নন। ততদিনে রঞ্জিতকুমার দেব প্রয়াত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন মা সুকৃতী দেবও। তাঁরা জেনে যেতে পারলেন না, তাঁরা ভারতীয়ই। সে কষ্ট ভুলতে পারেন না বিশ্বজিতবাবু।
তবু এ বার ভেবেছিলেন, সবার সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের ভোটটা দেবেন। মা-বাবার আত্মা হয়তো তাতেই শান্তি পাবেন। কিন্তু তাও হলো না। ভোটার তালিকা থেকে ডি কাটানোর জন্য যতবার যেখানে গিয়েছেন, সবাই বলেছেন, আরও কিছুদিন পরে যেতে। এর মধ্যে যে সেই কাজটা হয়ে গিয়েছে, তা জানতেই পারলেন না তিনি।
বিকেলে ওয়েটুবরাক প্রতিনিধির মাধ্যমে ভোটার তালিকায় নিজের ডি-মুক্তির কথা জেনে বিশ্বজিতবাবুর আক্ষেপ, এমন খবরটা ভোটের আগে জানানো হল না! তাহলে অন্তত আজকের দিনটা মন খারাপ করে কাটাতে হতো না!
নির্বাচন শাখা জানিয়েছে, এ বার ভোট দিতে না পারলেও ডি-মুক্ত হওয়ায় পরবর্তী ভোটার তালিকায় তাঁর নাম থাকবে। ভোট দিতে পারবেন তিনি। আর জানানোর দায়িত্বটা বিএলও-রই বলে উল্লেখ করেন তাঁরা।
শিলচর শহরের ১৩০ নং ভোটকেন্দ্রের বিএলও অনামিকা দেবের বক্তব্য, নতুন ভোটার তালিকা পেলেও বিশ্বজিত দেব যে ডি-মুক্ত হয়েছেন, তা কেউ জানাননি। ডি লিখে ক্রশ করলে যে ডি-মুক্ত বোঝায়, তাও তিনি জানেন না।