Barak UpdatesAnalyticsBreaking News
২২ অক্টোবর মন্দিরের চূড়া উদ্বোধন দিয়ে শুরু শিলচর শ্মশানঘাটের কালীপুজো
২০ অক্টোবর ঃ গত দু’বছর কোভিড বিধির জন্য জাঁকজমক আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এখন আর কোভিডের সেই রক্তচক্ষু নেই, ফলে এ বছর সেই চিরাচরিত ঐতিহ্য নিয়ে ফিরছে শিলচর শ্মশানঘাটের কালীপুজো। এমনিতেই শ্মশানের পুজোকে ঘিরে এক আলাদা উতসাহ রয়েছে শহরবাসীর। আর তাতে এ বার যোগ হচ্ছে মন্দিরের চুড়ো উদ্বোধন, বিশেষ আরতি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোকসজ্জা ইত্যাদি।
এ বছর লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম আশা করছেন শ্মশানঘাট কালীপুজো কমিটির কর্মকর্তারা। ফলে প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে অনেক আগে থেকেই। পুজো কমিটির কার্যকরী সভাপতি নীলাভ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ২২ অক্টোবর অর্থাৎ পুজোর দু’দিন আগে সন্ধ্যা ৬টায় সাধু-সন্ত ও বিশিষ্টদের উপস্থিতিতে শ্মশানকালী মন্দিরের নবনির্মিত চূড়া উদ্বোধন করা হবে। এ দিন ভারত সেবাশ্রম সংঘের তত্ত্বাবধানে আরতির পরেই ভক্তদের জন্য মন্দিরের দ্বার খুলে দেওয়া হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য মন্দিরের পাশে একটি মুক্তমঞ্চ গড়ে তোলা হয়েছে। উদ্বোধনের দিনই এই মঞ্চে স্থানীয় শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপহার দেবেন। এরপর ২৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টা থেকে শ্যামাবন্দনা শুরু হবে। পুজোর আবহ থাকবে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত। এছাড়া ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ত্রিপুরার বাউলশিল্পীদের অনুষ্ঠানও থাকবে মন্দির চত্বরে।
তিনি আরও জানান, আলোকসজ্জায়ও এ বার বাড়তি আকর্ষণ থাকবে। দুটি বড় আলোর তোরণ তৈরি করা হচ্ছে এ বার। তাঁর কথায়, এই পুজো একশ’ বছরের পুরনো, যদিও এই পুজো শুরুর কথা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। শুরু থেকেই জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এবং চাঁদায় পুজোর আয়োজন হয়ে যাচ্ছে। এখনও তা সমানে চলছে।
কমিটির উপদেষ্টা বিমলেন্দু রায় এ দিন জানান, দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে ত্রিস্তরীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকরা যেমন থাকবেন, তেমনি প্রাইভেট সিকিউরিটির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, মন্দিরের চূড়া নির্মাণে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করেছেন বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী। সাংসদ তহবিল থেকে অর্থ দিয়েছেন রাজদীপ রায়ও। এছাড়াও চূড়াটি নির্মাণ করতে অনেক ভক্ত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ দিন বৈঠকে কমিটির সহ সভাপতি সুদর্শন চৌধুরী, সম্রাট দেব, সুদীপ্ত সাহা, পলি ভট্টাচার্য, সম্পাদক রাজর্ষি দেব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।