Barak UpdatesBreaking News
মুখ্যমন্ত্রীর সভা চলাকালীন ফি মুকুবের দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভ, আশ্বাস সর্বানন্দেরProtest demonstration for fees relaxation during CM’s meeting, Sonowal assures to look into the matter
১৭ জুলাইঃ ভেতরে মুখ্যমন্ত্রীর সভা, বাইরে ফি মুকুবের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলন। গরিব ছাত্রদের ফি মুকুবের দাবিতে রাজ্যজুড়ে শুরু হওয়া আন্দোলনের আঁচ শিলচরেও বুঝে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার দুপুরে ফি মকুব দাবি ছাত্র সংগ্রাম কমিটি’র বরাক উপত্যকার বিভিন্ন কলেজের প্রতিনিধিরা শিলচরে জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর সভা চলাকালীন সময়ে অতর্কিতে হাজির হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। হঠাত করে এই বিক্ষোভের ফলে পুলিশ ও প্রশাসন কিছুটা সমস্যায় পড়ে যায়। ছাত্রছাত্রীরা দাবি জানাতে থাকে, স্নাতক স্তরে ব্যাক পাওয়া গরিব ছাত্রদের বিনামাশুলে ভর্তির সুযোগ দিতে হবে। বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা সেখানে ছুটে আসেন।
উপস্থিত সংগ্রাম কমিটির সদস্যরা তাদের কাছে বলেন, তারা গত একমাস থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা এও বলেন, ছাত্র সংগ্রাম কমিটি শিলচরের বিধায়ক দিলীপ কুমার পাল, আসামের মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ প্রমুখের সঙ্গে দেখা করে তাদের দাবি তুলে ধরেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর শিলচর আসার সংবাদ শুনে ছাত্র সংগ্রাম কমিটি’র সদস্যরা মিছিল করে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে জেলাশাসকের কার্যালয়ে ছুটে এসেছেন। আধিকারিকরা তাদের বক্তব্য শুনে এবং ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের আপসহীন মনোভাব দেখে এই বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রথমে সাড়া না এলেও পরবর্তীতে তিনি সাক্ষাত করতে রাজি হন। ছাত্র সংগ্রাম কমিটি’র দু’জন উপদেষ্টা প্রোজ্জ্বল দেব ও প্রশান্ত ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের দাবি তুলে ধরেন। তারা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে স্মারকলিপি তুলে দিয়ে বলেন, আসাম সরকারের এই সার্কুলার প্রত্যাহার না করলে গরিব ছাত্ররা শিক্ষাঙ্গন থেকে আর্থিক কারণে বিদায় নিতে বাধ্য হবে। তারা এও বলেন, ব্যাক পাওয়া ধনী পরিবারের ছাত্ররা পড়াশোনা করতে পারবে। কিন্তু বঞ্চিত হবে গরিব ছাত্র ছাত্রীরা। ছাত্র সংগ্রাম কমিটি’র প্রতিনিধিরা এও মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন যে ছাত্রদের শাস্তি প্রদানের অর্থ কী গরিব ঘরের সন্তানের শিক্ষাশিক্ষাঙ্গন থেকে জোর বিদায় দেওয়া।
তারা এও বলেন, ছাত্রদের ৭৫% উপস্থিতির পক্ষে তারাও রয়েছেন। কিন্তু গরিব ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের আর্থিক উপার্জনের প্রয়োজনে সরাসরি বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকা, প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর অভাব, পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক না থাকাও ছাত্রছাত্রীদের অনুপস্থিতির অন্যতম প্রধান কারণ।
প্রতিনিধি এও বলেন যে, বর্তমান ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে এমনিতেই ছাত্র ছাত্রীদের সবধরনের ফি মকুব করা উচিত, সেখানে নতুন করে ছাত্রদের উপর ফি চাপিয়ে দেওয়া অত্যন্ত অমানবিক। প্রতিনিধিদের যুক্তি শুনে মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রদের দাবি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার আশ্বাস প্রদান করেন। প্রতিনিধিরা আলোচনার শেষে বেরিয়ে এসে উপস্থিত ছাত্রদের সামনে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা প্রোজ্জ্বল দেব বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ছাত্রদের প্রতি দরদ থাকলে এই দাবি মেনে নেবেন। অন্যথায় ভবিষ্যতে দাবি আদায়ে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।