Barak UpdatesBreaking News
ইভিএম জমা দিতে গিয়ে দুর্ভোগে ভোটকর্মীরাPoll parties facing great difficulty while returning poll materials
১৮ এপ্রিলঃ সারা দিন ভোটগ্রহণ পর্ব শান্তিতে কাটলেও ইভিএম জমা দিতে গিয়ে মুশকিলে পড়েছেন ভোটকর্মীরা। অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র থেকে দিনভর খাটাখাটুনির পর ভোটকর্মীরা ফিরে এলেও ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির জন্য জমা রাখার কাজ অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে। তাতে রাতে তাঁদের ক-জনের পক্ষে ভোটভর্তি ইভিএম জমা করা সম্ভব হবে, এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
নেট্রিপ থেকে ক্ষুব্ধ প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসাররা জানিয়েছেন, এ বার একেক ভোটকর্মীর জন্য তিন কাউন্টারে যেতে হচ্ছে। প্রথমে সাত বিধানসভা কেন্দ্রের সাতটি স্পেশাল কাউন্টার। সেখানে মূলত মাস্টার ট্রেনাররা বসা। তাঁদের কাছে জেলাশাসকের নির্দেশ হল, প্রিসাইডিং অফিসারস ডায়েরি, ভোট রেকর্ডের ১৭ সি ফর্ম, ভোট শুরু ও শেষের পর প্রদত্ত প্রিসাইডিং অফিসারের ঘোষণাপত্র, ভোটের হারের রিপোর্ট, মক পোল সার্টিফিকেট এবং ইভিএম-ভিভিপ্যাট জমার সময়ে প্রদত্ত অ্যাডিশনাল রিপোর্ট খুব ভালো করে দেখে তাঁরা সার্টিফাই করার পর তাঁরা যাবেন ইভিএম-ভিভপ্যাট জমার কাউন্টারে। মাস্টার ট্রেনারদের রিপোর্ট দেখে সেখানে ওইসব ভোট-মেশিন জমা রাখবেন। পরে আরেক কাউন্টারে গিয়ে যাবতীয় কাগজপত্র তাঁরা জমা করে রিলিজ অর্ডার নেবেন।
কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্টার ট্রেনারদের চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, সমস্ত নথিপত্র খুব ভালো করে পরীক্ষা করে রাখতে হবে। কোথাও ত্রুটি ধরা পড়লে তাঁরা দায়ী হবেন। ফলে খুব সতর্কতার সঙ্গে কাগজপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে। এতে একেক ভোটকেন্দ্রের নথি দেখতে আধঘণ্টা সময় লাগছে। এইভাবে চলবে শিলচর সংসদীয় আসনের ১৪৬১টি ভোটকেন্দ্রের কাগজ ৭ কাউন্টারে দেখা কখন শেষ হবে, সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় সবাই।
ভোটকর্মীরা বলেন, দিনভর নিত্যনতুন নির্দেশে তাঁদের ব্যতিব্যস্ত থাকতে হয়েছে। ট্রেনিংয়ের কথাবার্তার সঙ্গে ভোটের দিনের কাজকর্মের মিল নেই। ট্রেনিংয়ে বলা হয়েছিল, প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়েরি এবং মক পোল সার্টিফিকেট ফর্ম দুই সেট দেওয়া হবে। কার্যত দেওয়া হয়েছে ১ সেট করে। এ ছাড়া, ২০ পয়েন্ট রিপোর্টের কথা ট্রেনিংয়ে বলাই হয়নি।
একইভাবে দুটি করে স্টিকার দেওয়া হয়। একটি সবুজ ও অন্যটি লাল। কেন দেওয়া হল, কীভাবে করবে, আগে জানানো হয়নি। পরে তাঁরা নিজেরা যোগাযোগ করে জানতে পারেন, মক পোলের সময় ইভিএম খারাপ হলে তার গায়ে লাল স্টিকার লাগাতে হবে। ভোট চলাকালীন কোনও মেশিন খারাপ হলে সবুজ স্টিকার লাগাতে হবে। সবই তাঁরা করছেন মাথা ঠাণ্ডা রেখে। কিন্তু ইভিএম জমার ঝামেলায় তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন।