Barak UpdatesBreaking News
পুলিশ কর্তাদেরও নাম নেই এনআরসিতে!Police officials also excluded from NRC!
১৮ সেপ্টেম্বরঃ বহুবার তাঁরা বিদেশি ধরার অভিযানে অংশ নিয়েছেন। ধরেও এনেছেন এক-দুইবার। এখন তাদেরই বিদেশি ট্রাইব্যুনালে হাজিরা দিতে হবে। পুলিশ ইন্সপেক্টর অমলকান্তি চক্রবর্তীর আক্ষেপ, এখন তাঁর ছেলেকে বন্ধুরা বাংলাদেশি বলে মজা করে। তাঁর কথায়, পাসপোর্টের জন্য পরিবারের সবাই মিলে আবেদন করব ভেবেছিলাম। এখন তো আর হবে না। সবাই বলবে, নাগরিকত্ব প্রমাণিত হয়নি। পুজোর মুখে এমন ঘটনায় অনেকটাই ভেঙে পড়েছেন শিলচর পুলিশ রিজার্ভে কর্মরত আর্মড ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর অমলবাবু।
একই অবস্থা ২১ নং ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের সাব-ইন্সপেক্টর অভেন্দ্রচন্দ্র দাসের। বাবা নগেন্দ্রচন্দ্র দাসের ১৯৬৬ সালের লিগ্যাসি দিয়ে আবেদন করেছিলেন। একই লিগ্যাসি ব্যবহার করেছেন ৪ ভাই, ১ বোন। সবার নাম এলেও বা পড়ে গেলেন অভেন্দ্রবাবু ও তার ছেলেমেয়ে। অথচ কাটিগড়ার নিজ ফুলবাড়ি তৃতীয় খণ্ডে তাদের যে বাড়ি, সেটি ১৮৯৯ সালে কেনা। খসড়ায় নাম না উঠলে রিভেরিফিকেশনের সময় ওই জমির দলিলের প্রতিলিপিও জমা করা হয়। তার পরেও ব্রাত্য থেকে যান।
অন্যদিকে, অমলবাবুও বাবা হরিমোহন শর্মার ১৯৬৬ সালের লিগ্যাসি জমা দিয়েছিলেন। একই লিগ্যাসিতে ১৬জন আবেদন করেছিলেন। ১৩ জনের এসে গিয়েছে। বাদ পড়েছেন অমলবাবু, তাঁর ছেলে অনিমেষ ও ভাতিজি অনুষ্ঠা। তিনি বিস্মিত, তার মেয়ে অনন্যাকে ভারতীয় বলে মেনে নিয়েছে এনআরসি কর্তৃপক্ষ, আর তাকে বিদেশি বলে সন্দেহ করছে! তিনি জানান, ১৯৬১ সালের ২২ জুলাই বুধুরাইলের বাড়িতে তাঁর জন্ম। বাবা-ঠাকুর্দা জন্মেছেন রাঙ্গিরখাড়িতে।
পুলিশ অফিসার হলেও এখন তাঁদের একটাই চিন্তা, কবে নাম না ওঠার কারণ জানিয়ে নোটিশ আসবে। আর কবে থেকে ট্রাইব্যুনালে ছুটতে হবে!