Barak UpdatesAnalyticsBreaking News
মুদি দোকান নিয়ে পুলিশও বিভ্রান্ত ! কেনাকাটা সহজ করতে অনুরোধPolice confused about grocery shops! Request made for easing purchase
২৫ মার্চ : এটা ঠিক যে এই লকডাউনের সময়ও কিছু অত্যুৎসাহী মানুষ অপ্রয়োজনে পাড়ার মোড়ে ভিড় করেন, রাস্তায় বেরিয়ে মজা দেখতে যান। কিন্তু এও তো ঠিক, পরিবারের অনেক মানুষ জরুরি সামগ্রী আনতে বাড়ির বাইরে বেরোন। এঁরাও কিন্তু প্রশাসনের রক্তচক্ষুর মুখে পড়েন। এমনকি এদের নিরাপত্তা জওয়ানদের লাঠির আঘাত খেয়ে দৌড়ে পালাতে হয়। এই সমস্যার সমাধান কীভাবে তা এখন বিরাট প্রশ্ন।
কাছাড়ে জেলা প্রশাসন অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী কেনাকাটার জন্য মুদির দোকান খুলে রাখার অনুমতি দিয়েছে। আর সেজন্যই পরিবারের অনেকে দোকানে যাচ্ছেন। এখানে একটি কথা হচ্ছে, সাধারণ মানুষ আগে ভেবেছিলেন ৩১ মার্চ পর্যন্তই লকডাউন থাকবে। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সময়সীমা ২১ দিন পর্যন্ত দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কিছু মানুষ খাবার-দাবার নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। আর তাতেই এ নিয়ে সমস্যা।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সিদ্ধান্ত খুব সময়োপযোগী। সংক্রমণ রুখতে লকআউট ঘোষণা করা ছাড়া আর বিকল্প ছিল না। ফলে এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে দ্বিমত নেই। কিন্ত সাধারণ মানুষ খুব সহজে কীভাবে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করতে পারেন, সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের আরেকটু পদ্ধতিগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে। শিলচরে দু-একটি স্থানে নিরাপত্তা জওয়ানরা মুদির দোকান বন্ধ করে দিয়েছে বলেও খবর রয়েছে। সেক্ষেত্রে চাল-ডাল কীভাবে ঘরে তুলবেন, তা নিয়ে অনেকেই বিব্রত হয়ে পড়েছেন। আরও একটি বিষয় হল, যে পাড়ার গলিতে কোনও মুদির দোকান নেই, তাঁদের স্বাভাবিকভাবেই আশপাশ এলাকায় যেতে হচ্ছে। কিন্তু এখানেও মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনকে একটু ভেবেচিন্তে বিষয়টি পরিচালনা করার দাবি উঠেছে। কেউ কেউ সমস্যাটি জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের নজরে নেওয়ার কথাও তুলেছেন। প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্র সরকার গতকাল থেকে সারা দেশে লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছেন। এই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ বন্ধ করলেই অর্থাৎ ঘরে থাকলেই একমাত্র এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।