Barak UpdatesAnalytics
এনআরসিঃ গৌতম রায়ের নামে আপত্তি !NRC: Objection filed against former minister Gautam Roy!
১৬ মেঃ এনআরসি-তে প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায়ের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দাবি-আপত্তি পর্বে তাঁর ও তাঁর নাতি ৬ বছরের হিমব্রতর নামে নালিশ ঠুকে দেয় একজন। এনআরসি অফিস থেকে নোটিশ ইস্যু হতেই জানাজানি হয় বিষয়টি। আগে জানতে পারেননি গৌতম রায়ও। দুদিন আগে নোটিশের কথা শুনে ছুটে আসেন হাইলাকান্দিতে। বৃহস্পতিবার সমস্ত নথিপত্র জমা করে জানতে চান, ‘ভারতীয় প্রমাণে আর কী কী চাই?’
১৯৮৫ সাল থেকে তিনি ছয়বার নাগাড়ে কাটলিছড়া আসনে জয়ী হয়েছেন। চারবার ছিলেন অসমের মন্ত্রী। তাঁর বাবা সন্তোষকুমার রায় ১৯৭২ সালে বিধায়ক ছিলেন। স্ত্রী মন্দিরা রায়, পুত্র রাহুল রায়ও একবার করে আলগাপুর আসনে জিতেন।
তাঁর নথিপত্র দেখে আগে এনআরসি কর্তৃপক্ষের অবশ্য কোনও সন্দেহ ছিল না। প্রথম তালিকাতেই ছিল তাঁর নাম। চূড়ান্ত খসড়াতেও থেকে যান তিনি ও তাঁর পরিবারের সকলে। গৌতমবাবু বলেন, ‘আপত্তিকারীর নাম জেনেছি। শুনানিতে উপস্থিত হলে চেহারাটা দেখতে পেতাম।’ তাঁর কথায়, ‘মানুষকে হয়রানির জন্য যারা অহেতুক আপত্তি জানিয়েছে, এরা সমাজবিরোধী, দালাল।’
গত বছর এনআরসি বিতর্কে এক বেসরকারি টিভি সাক্ষাতকারে গৌতমবাবু বলেছিলেন, ঢাকায় তাঁর জন্ম। সে কথা স্মরণ করিয়ে দিলে গৌতমবাবু বলেন, ‘তাতে কী হয়েছে! সে তো ১৯৪৮ সালের কথা। এনআরসি-তে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে থেকে যারা অসমে বসবাস করছেন, তাঁরা সবাই ভারতীয়।’
১৯৬৭ সালে হাইলাকান্দিতে কৃষিজমি কেনার দলিল রয়েছে তাঁর নামে। ১৯৬৯ সালে এই শহরেরই এসএস কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। বললেন, ‘শুধু কলেজই নয়, হাইলাকান্দিতে যে পাঠশালায় পড়েছি, রয়েছে সে সব কাগজপত্রও।’
অহেতুক আপত্তির জন্য গৌতমবাবু ক্ষুব্ধ হলেও আপত্তিকারীর বিরুদ্ধে কিছু করার নেই। কারণ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, আপত্তি মিথ্যা প্রমাণিত হলেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না। এমনকী, শুনানিতে উপস্থিত থেকে তার যুক্তি প্রদর্শনও বাধ্যতামূলক নয়। এরই সুযোগে দাবি-আপত্তি জানানোর শেষদিনে অসমে আড়াই লক্ষ আপত্তি জমা পড়ে। শুনানিতে কেউই হাজির হচ্ছেন না। বিভিন্ন বাঙালি সংগঠন এই হয়রানির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। গৌতমবাবু জানিয়েছেন, ‘এনআরসি-তে কোনও আপত্তিকারীর বিরুদ্ধে নালিশ জানানোর বিধান না থাকলেও গণ-হয়রানির ব্যাপারে তিনি শীঘ্র আদালতে যাবেন।’