Barak UpdatesHappeningsBreaking News

বাল্য বিবাহ রোধে কঠোর হচ্ছে আসাম সরকার, পকসো আইনে বিচার হবে

ওয়েটুবরাক, ২৩ জানুয়ারি : বাল্য বিবাহ নিয়ে কঠোর হচ্ছে অসম সরকার৷ ১৪-অনূর্ধ্ব কনের ক্ষেত্রে বরের বিরুদ্ধে পকসো আইনে অভিযুক্ত করা হবে৷ ১৪ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে কনের বয়স হলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ কর্নাটক সরকারকে মডেল করে ওই সব বেআইনি বিয়েতে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ রেহাই পাবেন না কাজি বা মন্দিরের পুরোহিতও৷ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়৷
বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নিজেই সাংবাদিকদের ডেকে অসমে বাল্য বিবাহ এবং কিশোরীমায়েদের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন৷ মুখ্যমন্ত্রী ন্যাশনাল ফ্যামেলি হেলথ সার্ভের পঞ্চম সংস্করণের উল্লেখ করে বলেন, অসমে যত বিয়ে হচ্ছে, এর ৩১ শতাংশ বেআইনি৷ বিয়ের বয়স হওয়ার আগেই তাদের বিয়ের পিড়িতে বসতে হয়, নিকাহ কবুল করতে হয়৷ কেন্দ্রীয় সরকারের সমীক্ষাটিতে জানানো হয়েছে, ধুবড়ির অর্ধেক বিয়েতে কনের বয়স ১৮ বছরের কম৷ দক্ষিণ শালমারায় তা ৪৪ শতাংশ, দরঙ ও নগাঁওয়ে তা ৪২ শতাংশ৷ এর দরুন কিশোরী বয়সেই এরা মাতৃত্ব লাভ করে৷ অসমে কিশোরীদের মা হওয়ার হার ১১.৭ শতাংশ৷ জেলা ভিত্তিক হিসাবও রয়েছে সমীক্ষায়৷ সেখানেও ধুবড়ি এবং দক্ষিণ শালমারা শীর্ষে (২২%), দরঙ (১৬%) রয়েছে প্রথম তিনে৷
মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাল্যবিবাহের দরুনই অসমে মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার বেশি৷ একে ঠেকানোর জন্য বাল্যবিবাহ বন্ধ করা ছাড়া উপায় নেই৷ তাঁর কথায়, তাঁরা যে সব ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এর জন্য নতুন কোনও আইনের প্রয়োজন নেই, ২০০৬ সালের বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ আইন এবং ২০১২ সালের পকসো আইনে সে সবের উল্লেখ আগে থেকেই রয়েছে৷ সোমবারের বৈঠকে শুধু একে কার্যকর করার ব্যাপারে সরকার গূরুত্ব আরোপ করে৷ পুলিশকে বলা হয়েছে, রাজ্য জুড়ে ১৫ দিনের থানা পর্যায়ে বিশেষ অভিযান চালানো হবে৷ বেআইনি বিয়ের ক্ষেত্রে ওসিরা ব্যবস্থা নেবেন৷ এ ছাড়া, পঞ্চায়েত সচিবদের এখন একই সঙ্গে চাইল্ড ম্যারেজ প্রহিবিশন অফিসার হিসাবেও নিযুক্ত করা হবে৷ তাঁরা বাল্যবিবাহের রিপোর্ট করবেন, এজাহার দেবেন৷ এটি তাঁর কর্তব্য বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন৷
এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয় ওয়ার্ক চার্জ, মাস্টার রোল এবং ক্যাজুয়াল কর্মীদের ৩ শতাংশ বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ঘটবে৷ গুণোৎসবে কোনও স্কুল পরপর দুই বছর এ প্লাস গ্রেড পেলে ওই স্কুলে কর্মরত ঠিকা ভিত্তিক শিক্ষকদের নিয়মিত করা হবে৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker