Barak UpdatesBreaking News
স্বামীর শ্রাদ্ধের দিনেই জানলেন, তিনি রাষ্ট্রহারা!Namita Dutta got the news of her name being excluded on the day of her husband’s death ceremony
৩১ আগস্টঃ নমিতা দত্তের নাম নেই এনআরসিতে। আগেই তা আঁচ করেছিলেন প্রীতিভূষণ দত্ত। স্ত্রীকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে তাঁর পক্ষে বাঁচা সম্ভব নয় বলে বুধবার আত্মহত্যা করেছিলেন। শনিবার ছিল তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। সকাল থেকেই এ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন নমিতাদেবী। এর মধ্যেই এনআরসির খবরটা পান। নাম নেই জেনেও থেকে যান ভাবলেশহীন। পড়শিদের বলেন, নিঃসন্তান। তাঁকে নিয়েই তো বাঁচতে চেয়েছিলাম। তিনিই যখন চলে গেলেন, তখন বাড়িতে থাকা আর ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকা একই ব্যাপার।
নমিতা দেবীর মতই আক্ষেপ করিমগঞ্জের সুনীল দাসের পরিবারে। ১৯৭১ বা ১৯৬৬ নয়, সুনীলবাবু ১৯৫২ সালে সন্তোষ ট্রফিতে অসমের অধিনায়কত্ব করেছেন। এনআরসিতে বাদ পড়ে গিয়েছেন তাঁর ছেলেও।
তবে সত্তরোর্ধ্ব সংস্কৃতিকর্মী রন্টু বাগচি নাগরিকত্ব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিছুদিন আগে তাঁকে বিদেশি বলে নোটিশ পাঠিয়ে নথি পুনঃপরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছিল। এ দিন তাকে ভারতীয় বলেই স্বীকৃতি দেয় এনআরসি কর্তৃপক্ষ।
এ দিকে, শনিবার চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশের পর বহু সরকারি কর্মী দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তাঁরা আশঙ্কায়, ট্রাইব্যুনালে নাগরিকত্ব প্রমাণের আগেই চাকরি চলে যায় কিনা। সরকার অবশ্য বারবার জানিয়েছে, এনআরসি দেখে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। ট্রাইব্যুনালের রায়ের আগে কাউকে বিদেশি বলা হবে না। ফলে চাকরি হোক, অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধে থাকবে কিনা, তা চূড়ান্ত হবে ট্রাইব্যুনালের রায় দেখে।