Barak UpdatesBreaking News
লংকা-শিলচর বিকল্প রেলপথঃ সার্ভে রিপোর্ট বাতিল না হলেও এগোয়নি একবিন্দুLanka-Silchar alternative rail route, work progressed nil though survey report not cancelled
৫ মেঃ চন্দ্রনাথপুর থেকে লংকাকে রেললাইনে জুড়ে শিলচর-লংকা দ্বিতীয় রেললাইন নির্মাণের জন্য ১৯৮৪ সালে সমীক্ষা হয়েছিল। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট ৩৫ বছর ধরে রেলবোর্ডে পড়ে রয়েছে। একে যেমন এ পর্যন্ত বাতিল করা হয়নি, তেমনি এ নিয়ে কোনও নড়াচড়াও টের পাওয়া যায় না। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নির্মাণ শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সম্প্রতি এক আরটিআই-র জবাবে জানিয়েছেন, গুয়াহাটি থেকে দিগারু ডাবল লাইন রয়েছে। দিগারু থেকে লামডিঙ ডাবল লাইন নির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু লামডিং-শিলচর অংশে ডাবল লাইন নির্মাণে সার্ভের কোনও মঞ্জুরি মেলেনি।
লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক মলয় ভট্টাচার্য উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাছে আরটিআই করে গুয়াহাটি-শিলচর দ্বিতীয় রেলট্র্যাক নির্মাণের ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন। তিনি চন্দ্রনাথপুর থেকে লংকা নতুন রেললাইন নির্মাণ করে শিলচর-লংকা বিকল্প রেলপথের বহু পুরনো প্রস্তাবের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। জানতে চান, সেই প্রস্তাবটি কি বাতিল হয়ে গিয়েছে। বাতিল না হলে কোন অবস্থায় রয়েছে। জবাবে জানানো হয়েছে, বাতিল হয়নি। সেই প্রস্তাবের ওপর সার্ভেও হয়ে গিয়েছে। ১৯৮৪ সালে সেই সার্ভে রিপোর্ট রেল বোর্ডে জমা দেওয়া হয়েছে। এর পরই রেলের বক্তব্য, এ বার বোর্ড প্রকল্প মঞ্জুর করে অর্থ বরাদ্দ করলেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।
কাজের জায়গায় একবিন্দু না এগুলেও এ যে কোনও নতুন কথা নয়, তা তেড়েফুঁড়েই মলয়বাবুকে জানিয়ে দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। লিখেছেন, সে সব আপনাদের আগেও অর্থাত ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর তারিখেও জানানো হয়েছিল।
একে পাহাড় লাইনের ঝুঁকি, দ্বিতীয়ত ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মণিপুরে রেললাইন সম্প্রসারিত হওয়ার দরুন ট্রেনের সংখ্যা ক্রমে বেড়ে চলেছে। এই অবস্থায় সিঙ্গল লাইনে চলাচল আর কতটা সম্ভব, স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠছে। যাত্রীস্বার্থে আরও ট্রেন বাড়ানো প্রয়োজন হলেও সিঙ্গল লাইনের দরুন তা সম্ভব কিনা, সে নিয়েও চিন্তাচর্চার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কিন্তু যাদের ভাববার প্রয়োজন, তাঁরা এ নিয়ে নীরব। না রেল বোর্ডে ১৯৮৪ সালের সমীক্ষা রিপোর্ট নিয়ে কেউ কথা বলছেন, না কোনও রাজনৈতিক দল বা জনপ্রতিনিধি দ্বিতীয় রেললাইনের জন্য আওয়াজ তুলছেন।