Barak UpdatesBreaking News
নীরবে কাজ করে গেছেন চন্দন সেনগুপ্ত, স্মৃতিচারণ শিলচরে
৮ জুন : একজন উঁচুদরের মানুষ ছিলেন চন্দন সেনগুপ্ত। তবে কখনও নিজেকে জাহির করেননি। নীরবে কাজ করে গেছেন। পরিবার-পরিজনকে পেছনে রেখে সমাজ তাঁর কাছে ছিল সর্বোপরি। এককথায় বলতে গেলে এই কমিউনিস্ট নেতার জীবন-যাপন ছিল ত্যাগী সন্ন্যাসীর মতো। শনিবার বিকেলে প্রয়াত চন্দন সেনগুপ্তের স্মৃতিচারণ সভায় বক্তাদের মুখ থেকে উঠে আসে এ সব কথা।
শিলচর মধ্যসহর সাংস্কৃতিক সমিতির প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠান। দলমতের উর্দ্ধে গিয়ে উপস্থিতি ছিল। বরাকের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও বহু মানুষ প্রয়াত নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে সামিল ছিলেন। মানস দাস তাঁর আজীবন সংগ্রামের বিষয়টা তুলে ধরেন। প্রয়াতের ভাইপো শান্তনু সেনগুপ্তের কথায়, সহজ সরল মানুষ ছিলেন। আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি টান ছিল খুব। কারও জন্মদিন ভুলতেন না। বয়স আশি পেরিয়ে গেছিল ঠিকই, তবে প্রখর স্মৃতিশক্তি তাঁকে সবসময় উজ্জীবিত করে রাখত। পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তনু দাস বলেন, বিপরীতধর্মী রাজনৈতিক অবস্থানে থাকলেও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরণ একটুকু নড়েননি। জেলা কংগ্রেসের অন্যতম কর্মকর্তা পার্থরঞ্জন চক্রবর্তী চন্দন সেনগুপ্তের উদার মানসিকতার দৃষ্টান্ত দেন।
অধ্যাপক গির্বান বিশ্বাস চন্দন সেনগুপ্তের সঙ্গে কাটানো প্রায় ছয় দশকের অভিজ্ঞতার ব্যাপারে বলেন। নাট্যকার শেখর দেবরায়, প্রাক্তন ডিস্ট্রিক্ট জজ আনোয়ার উদ্দিন লস্কর, ডাঃ কুমারকান্তি দাস, অপরেশ ভৌমিক সহ অন্য বিশিষ্টজনেরা একের পর এক বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালনায় ছিলেন অরিন্দম দেব। সভার প্রথমে চন্দন সেনগুপ্তের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।