CultureBreaking News

কীর্তনের আমেজে ভোরের সকাল
Kirtanashray fills the morning air with chants of Hare Krishna

১৫ জানুয়ারি : পৌষ সংক্রান্তির সকাল মানেই হাত চুবিয়ে পিঠেপুলির স্বাদ। তবে শিলচরের মানুষের কাছে এ দিন সকাল পিঠেপুলির সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির মোড়কে একটু সংস্কৃতি চর্চাও। আর সেই তাগিদ থেকেই সাত সকালে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন কিছু মানুষ। শুধু নিছক সকালটাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যই নয়, বরং তাদের এই উদ্যোগ শেকড় বিচ্ছিন্ন একাংশ বাঙালিকে অস্তিত্বের জানান দেওয়া।

মঙ্গলবার সকালে শিলচরের রাস্তায় কীর্তনাশ্রয়ের উদ্যোগে এক সম্মিলিত শোভাযাত্রা বের করা হয়। শহরের নরসিংটোলা পয়েন্ট থেকে বেরিয়ে এই মিছিল পার্ক রোড, সেন্ট্রাল রোড, দেওয়ানজি বাজার, অম্বিকাপট্টি, চার্চ রোড ও শিলংপট্টি হয়ে ফিরে আসে একই স্থানে। এই শোভাযাত্রায় শহরের সংস্কৃতিপ্রেমী কিছু মানুষ, একাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য অংশ নেন। শহরের কয়েকটি মোড়ে দাঁড়িয়ে নগর কীর্তনে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা গানের সঙ্গে নাচেও সামিল হন। ইসকনের সামনে এভাবে অনুষ্ঠান করার সময় তাদের অনেককে মালা পরিয়ে দেওয়া হয়।

এ দিকে এই কীর্তনাশ্রয়ের অন্যতম কর্মকর্তা সমরবিজয় চক্রবর্তী বলেন, কীর্তন হচ্ছে বাঙালির আদি সঙ্গীত। গোটা বিশ্বে কীর্তন হয়। কিন্তু মধ্যবিত্ত মানুষের মধ্যে কীর্তনের তেমন প্রভাব নেই। সেই ভাবনা থেকেই কীর্তনাশ্রয়ের জন্ম হয়েছে। তিনি বলেন, তাদের সংস্থা কীর্তনের প্রচার ও প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে। যাতে সঙ্গীত বিদ্যালয় গুলোতে কীর্তন শেখানো হয়। মৃদঙ্গের বোলবাণী নতুন তৈরি হয়, অন্যথায় কীর্তন হারিয়ে যাবে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষ গোটা দিন শ্রমের পর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর কাছে আবেগপ্রবণ হয়ে আশ্রয় নেন। তাদের মধ্যে অনেক ত্রুটি থাকে। তিনি মধ্যবিত্ত মানুষকেও তাদের সঙ্গে মিলেমিশে অনুষ্ঠান করার আহ্বান জানান। এতে বাঙালি তার কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে পারবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker