India & World UpdatesAnalyticsBreaking News
স্নাতক এ বার ৪ বছরের, রসায়নের সঙ্গে পড়া যাবে ফ্যাশন ডিজাইনিংHonours to be 4 years course from now, ease of studying Fashion Designing with Chemistry
২৯ জুলাই : ৩৪ বছরের শিক্ষানীতির খোলনলচে বদলে ফেলে শিক্ষাক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তনের পদক্ষেপ নিল মোদি সরকার । বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছাড়পত্র পেল নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি। এর ফলে দেশে পড়াশুনার ধরনে বড়সড় বদল আসতে চলেছে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই এই নীতি প্রণয়ন করতে চায় কেন্দ্র। এ বার থেকে স্নাতক অনার্স কোর্স তিন বছরের নয়, চার বছরের। স্নাতকোত্তরে ১ বা দুবছরের কোর্স পড়ানো হবে। এছাড়া স্নাতক ও স্নাতকোত্তর একসঙ্গে পড়ার জন্য ৫ বছরের একটি ইন্টিগ্রেটেড কোর্সেরও ব্যবস্থা রয়েছে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে ।
নয়া শিক্ষা নীতিতে স্কুল শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চশিক্ষাতেও বড়সড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আগে ইঞ্জিয়ারিংয়ের মতো কোর্সের ক্ষেত্রে কোনও পড়ুয়া চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা না দিলে পাশ করার কোনও সুযোগই ছিল না। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কিছু শিক্ষা থাকলেও কোনও ডিগ্রি না পেয়ে ওই পড়ুয়ার আর কিছুই করার থাকত না। কিন্তু নয়া শিক্ষা নীতিতে মাঝপথে পড়া ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধাপে ধাপে শিক্ষার মানপত্র পাওয়ারও ব্যবস্থা থাকছে। নতুন নীতিতে এক বছর বাদে সার্টিফিকেট, দুবছর পরে ডিপ্লোমা, তিন বছর কোর্সের পরে একরকম ডিগ্রি সার্টিফিকেট ও চার বছরে কোর্স সম্পূর্ণ করার পর পুরো ডিগ্রি পাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
অনেক পড়ুয়া নানা অসুবিধার কারণে মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু পরে কোর্স কমপ্লিট করতে চাইলে তার সুযোগ থাকে না। জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ অনুসারে, স্নাতক না স্নাতকোত্তরে এক বা একাধিকবার বিশেষ শর্তে কোর্স ভেঙে পড়ার সুযোগ থাকছে। কোনও পড়ুয়া মাঝপথে পড়া বন্ধ করার বা পরীক্ষা না দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফিরে এসে চাইলে কোর্স কমপ্লিট করতে পারে। সেক্ষেত্রে তাঁকে প্রথম থেকে পড়া শুরু করতে হবে না। এর জন্য প্রত্যেক পড়ুয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ অ্যাকাডেমিক ডিজিলকারের ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র। নয়া শিক্ষানীতিতে বিষয় বাছার ক্ষেত্রে আগের থেকে অনেক বেশি স্বাধীনতা রয়েছে। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন নিয়ে পড়লেও, ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়ার সুযোগ থাকবে। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণধর্মী বা বৃত্তিমূলক শিক্ষায় জোর দিতে চাইছে সরকার অর্থাত্ ডিগ্রির পর পড়ুয়াদের শিক্ষা অনুযায়ী জীবিকা পেতে যাতে কোনও অসুবিধে না হয়।
এছাড়া কলেজগুলিকেও ফিনান্সিয়ালি আরও কিছু সুবিধা দেওয়া হবে । গোটা দেশে যে ৪৫ হাজার কলেজ রয়েছে তাতে ২০৩৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ এনরোলমেন্টের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে কেন্দ্র। কলেজগুলিকে গ্রেডের উপর ভিত্তি করে স্বশাসন দেওয়া হবে। ল’ এবং মেডিক্যাল ছাড়া বাকি সমস্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার ছাতার তলায় আসতে চলেছে।