SportsBreaking News

তমালকে বিধায়ক দেখতে চান কমলেন্দু ভট্টাচার্য, কীসের ইঙ্গিত?
Kamalendu Bhattacharjee wants to see Tamal Banik as MLA, political forecast!

১৭ ডিসেম্বরঃ ‘তমাল একবার এমএলএ হোক, এ আমার মনের ইচ্ছে।’ এই কথা বলে নতুন বিতর্ক উসকে দিলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য কমলেন্দু ভট্টাচার্য। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাগৃহটি নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে দিয়েছে প্রাক্তন খেলোয়াড় তুলসীদাস বণিকের পরিবার। প্রয়াত তুলসীদাসবাবুরই কনিষ্ঠ ছেলে তমাল বণিক, শিলচর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান, বর্তমান সদস্য।

২০১৭-র বিধানসভার ভোট বা এর আগের উপনির্বাচনে তিনি ছিলেন কংগ্রেস টিকিটের শক্ত দাবিদার। উপনির্বাচনে অরুণ দত্তমজুমদারকে দাঁড় করিয়ে দেন ততকালীন মন্ত্রী গৌতম রায়। পরে ২০১৭-য় টিকিট বণ্টনের শেষলগ্নে বীথিকা দেবকে সামনে নিয়ে আসেন সাংসদ সুস্মিতা দেব। সে বার রীতিমত বিদ্রোহ করে বসেন তমালবাহিনী।

সুস্মিতা দেবের অতি ঘনিষ্ঠরাও এই ইস্যুতে তমালবাবুর পাশে দাঁড়ান। সে থেকে সংগঠনের সঙ্গে আগের মতো জড়িয়ে নেই তুলসীদাস বণিকের ছোট ছেলে। সুস্মিতা দেব এখন মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি, রাহুল গান্ধীর কাছের মানুষ। এই অবস্থায় তমালবাবু তিনবছর পর ফের টিকিট চাইবেন কি-না এ নিয়ে এখনও কোথাও কিছু বলেননি। এরই মধ্যে কমলেন্দুবাবুর এই মন্তব্যকে তাতপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ এআইইউডিএফ ছেড়ে ঘরে ফিরে পুরনো মর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে পারেননি প্রাক্তন সাংসদ, জিসি কলেজের তুখোড় অধ্যাপক। পরে ধীরে ধীরে নিজেকে সরিয়ে নেন। এখন তিনি বরং কংগ্রেসের চেয়ে বিজেপির কাছের মানুষ। আনুষ্ঠানিক দলবদল না করলেও বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপি নেতারা তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করেন বলে সংবাদ রয়েছে। একে সত্য বলে প্রতিপন্ন করে গতি পত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে তাঁর নিযুক্তি। পত্রিকাটি বিজেপির জেলা সভাপতি কৌশিক রাই, রাজ্য মুখপাত্র রাজদীপ রায়, বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর এবং মূলচাঁদ বৈদের মালিকানায় প্রকাশিত হচ্ছে। প্রশ্ন ওঠে, তবে কি কমলেন্দুবাবু তমাল বণিককে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন? তমালবাবু অবশ্য একসময় সংঘের বর্গে যেতেন। সে অনেক আগের কথা। তখনও তিনি রাজনীতিতে যোগ দেননি। এ বার কি তবে ঘর ওয়াপসি?  সেখানেও স্যারের স্বপ্ন পূরণে বহু যদি-কিন্তু রয়েছে। কারণ বিজেপিতে যোগ দিলেই তমালবাবুকে বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট পাইয়ে দেবেন, এমন কথা খোদ প্রবীণ বিজেপি নেতাদের পক্ষেও বলা মুশকিল। এর ওপর শিলচর বিধানসভা কেন্দ্রে বর্তমানে দিলীপকুমার পালের মতো ব্যক্তি বিধায়ক রয়েছেন।

তমালবাবু অবশ্য পরে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, স্যার আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করেন। তিনি এমন ইচ্ছা ব্যক্ত করতেই পারেন। তবে আমি মনে করি, সমাজের জন্য কাজ করতে গেলে বিধায়ক-সাংসদ হওয়া জরুরি নয়। আর বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। তাঁর কথায়,  আমি মনে করি, কেউ যখন রাজনীতিতে যোগ দেন, বুঝেশুনে দল নির্বাচন করেন। সেখানে আমিও যে কংগ্রেসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তা আজও আমার কাছে যথার্থ সিদ্ধান্ত বলেই মনে হয়। কারণ ভারতের মতো দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার বিকল্প কোনও নীতি হতে পারে না। যে দলই ক্ষমতা থাক, আমি ধর্মনিরপেক্ষতার পূজারী।

English text here

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker