Barak UpdatesBreaking News
মামলা চালানোর সুযোগ, ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে জামিনে মুক্ত জয়দেব ঘোষJoydeb Ghosh released on bail from Detention Camp: A tale of woe
৬ মার্চ: ক্যানসার আক্রান্ত ছেলের প্রাণরক্ষা নাকি নিজেকে ভারতীয় প্রমাণের জন্য ট্রাইব্যুনালে ছোটাছুটি? বদরপুর এসটি রোডের জয়দেব ঘোষকেই ছেলের প্রাণরক্ষাকেই গুরুত্ব দিয়েছিলেন৷ মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও চমক কিছু ঘটে যায় কিনা, অপেক্ষায় ছিলেন জয়দেববাবু৷ শেষের কিছুদিন কিছুতেই তাঁর সামনে থেকে সরতে পারছিলেন না৷ ছেলের মৃত্যু যখন পিতৃহৃদয়কে প্রায় ফাঁকা করে দিয়েছিল, তখনই আরেক দুঃসংবাদ নিয়ে বাড়িতে হাজির হয়েছিল করিমগঞ্জ পুলিশ৷ একতরফা রায়ে তাঁকে বিদেশি ঘোষণা করেছে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল৷ মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে ৫০ বছরের প্রৌঢ়ের৷
ফাইল ভর্তি কাগজপত্র এনে দেখান পুলিশ অফিসারকে৷ ১৯৫১ সালের বাবার সিটিজেনশিপ সার্টিফিকেট, ১৯৫৫ সালের জমির দলিল, নিজের জন্ম থেকে বড় হয়ে ওঠার নানা ডকুমেন্ট, মা-ভাইকে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের ভারতীয় ঘোষণার রায়৷ আর কী চাই! কত প্রমাণ দরকার! পুলিশ অফিসার বললেন, সে সব দেখানোর সময় ফুরিয়ে গিয়েছে৷ তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে সোজা শিলচর ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়৷ ক্যাম্প মানে শিলচর সেন্ট্রাল জেল৷
এত প্রমাণপত্র হাতে থাকতে একজন ভারতীয় প্রৌঢ়কে জেলে কাটাতে হবে সারা জীবন! পাশে দাঁড়ায় বদরপুরের সংস্থা ঝিনুক৷ তাদের উদ্যোগেই হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়৷ শেষে হাইকোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ গত ৩ মার্চ জয়দেববাবুকে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেন৷ তাঁকে নতুন করে নাগরিকত্ব প্রমাণের সুযোগ দেওয়া হয়৷ এর পরই বৃহস্পতিবার জেল-ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে আসেন জয়দেববাবু