NE UpdatesBarak UpdatesBreaking News
It was Vajpayee who first made a law that Bangladeshis will not be allowed to enter India: Himantaবাজপেয়ীই প্রথম আইন করেন, বাংলাদেশি ঢুকতে দেব না, বললেন হিমন্ত
২৯ ডিসেম্বর: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে যারা বিজেপির সমালোচনায় মুখর হয়েছেন, রবিবার তাঁদের ওপর খড়্গহস্ত হলেন অসমের পূর্ত-অর্থ মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা৷ তিনি তাঁদের বিলটা ভাল করে পড়তে অনুরোধ করেন৷ বলেন, ২০১৪ সালের পর কোনও বিদেশি যে ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না, সে কথা বিলে উল্লেখ করা হয়েছে৷
২০১৪-কেন ধরা হল, এরও ব্যাখ্যা দেন তিনি৷ বলেন, অসমে বিদেশি কেউ ঢুকলে কংগ্রেস আমলেই ঢুকেছে৷ বিজেপি সরকার আসার পরে কারও সীমান্ত টপকে এ দেশে আসার সম্ভাবনা নেই৷
হিমন্ত আন্দোলনকারীদের একহাত নিয়ে বলেন, নাগরিকত্ব আইন এই প্রথম সংশোধন করা হয়নি৷ অসম চুক্তির পরে ১৯৮৭, ১৯৯২ ও ২০০৩ সালে এই আইন সংশোধিত হয়৷ ১৯৮৭ সালে কংগ্রেস আমলে সংশোধন করে বলা হয়, এর পরে যারা ভারতে জন্ম নেবে, মা-বাবার একজন বাংলাদেশি হলেও সে ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন৷ ২০০২ সালে কংগ্রেস আমলে আবার নাগরিকত্ব আইন সংশোধন হয়৷ তখন বলা হয়েছে, মা-বাবার একজন বাংলাদেশি হলেও এবং শিশুটির জন্মও যদি বাংলাদেশে হয় তবু সে ভারতীয়৷ হিমন্ত ২০০৩ সালে বাজপেয়ী বললেন, এ কী রকম কথা! এই আইন সংশোধন করলেন, মা-বাবার একজন ভারতীয় হতেই হবে এবং অন্যজনকেও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হলে চলবে না৷
ওইসব জানিয়েই তিনি প্রশ্ন করেন, কারা তবে বাংলাদেশি আটকেছে, বিজেপি না কংগ্রেস? ১৯৮৭, ১৯৯২ সালে আজকের আন্দোলনকারীরা কোথায় ছিলেন, জানতে চান হিমন্ত৷
সঙ্গীতশিল্পী জুবিন গর্গকেও তিনি একহাত নেন৷ দুদিন আগেই গর্গ আন্দোলন মঞ্চে দাঁড়িয়ে নতুন দল গঠনের কথা ঘোষণা করেছিলেন৷ সেই প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী শর্মা জুবিনের নাম না নিয়েই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, আন্দোলন মঞ্চ থেকে কোনও দল জন্ম নিলে এর প্রার্থী যত বড় শিল্পীই হন তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে৷
শিল্পীদের ৫০ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদানের ঘোষণা শুনে জুবিন বলেছিলেন, এমন কত টাকাই তিনি দানদক্ষিণা করেন৷ কোনও শিল্পী যেন সরকারি অনুদান না নেন৷ কারও তেমন প্রয়োজন হলে তিনি নিজেই তা মিটিয়ে দেবেন৷ প্রয়োজনে চাঁদা তুলবেন৷ সে দিনের কথা টেনে হিমন্ত অসমের শিল্পীদের জুবিনের বিরুদ্ধে খুঁচিয়ে দেন৷ বলেন, শিল্পীদের আত্মসম্মানবোধ রয়েছে৷ বিপদে পড়লেও কেউ তাঁর ( ওই শিল্পীর) কাছে সাহায্য চাইতে যাবেন না৷ সরকারের কাছে তাঁরা দাবি জানাতে পারেন৷ কারণ সরকারের টাকা তাঁদের নিজেদের টাকা৷
‘ভূপেন হাজরিকার মরণোত্তর ভারতরত্ন নিয়েও এক শিল্পী কটাক্ষ করেছিলেন’, পরোক্ষ উক্তিতেই হিমন্ত যোগ করেন, ‘এমন শিল্পীকে অসমের মানুষ নিজেদের নেতা বলে মানবেন না৷’ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ছাত্র সংগঠন ও শিল্পীদের আন্দোলনের পাল্টা হিসাবে বিজেপি শান্তি মিছিল ও সমাবেশ করে চলেছে৷ নলবাড়ি, সরভোগের পর শনিবার সভা হয় জাগি রোডে৷ রবিবার সভা করেন জালুকবাড়ির শুয়ালকুচিতে৷ মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল উপস্থিত থাকলেও নজর কাড়েন হিমন্তই৷
গতকাল সিএএ বিরোধী আন্দোলনে বাড়তি শক্তি জোগাতে গুয়াহাটিতে বক্তৃতা করে যান কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী৷ হিংসার আবহ আমদানির কথা বলে তিনি আরএসএস-বিজেপিকে দোষারোপ করেন৷ হিমন্ত সে সবের জবাব দেওয়ার পথেই হাঁটেননি৷ এমনকি, আন্দোলনের মূল নেতা সমুজ্জল ভট্টাচার্যকেও সেভাবে আক্রমণ করেননি৷ শান্তি মিছিলে ভাড়া করা মানুষ আসেন, শুধু এই অভিযোগের জবাবে তাঁকে শুয়ালকুচির সভায় গিয়ে ভাড়ার মানুষ খুঁজে বের করতে আহ্বান জানান৷
কিন্তু জুবিন গর্গের দিকে ছিল হিমন্তের আক্রমণের প্রধান বর্শামুখ৷